প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ২১ আশ্বিন, ১৪৩২ ১৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭

আজকের এই নুতন বাংলাদেশের মুল স্থপতি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

মোঃ লুৎফুর রহমান রাকিবঃ কারণ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সহযোগিতা না পেলে আজকের এই নুতন বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। ৫ আগষ্ট কার্ফিউ চলাকালীন সারা বাংলাদেশে ছাত্র-জনতাক মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আজকের এই দিনটিকে এনে দিতে সহযোগিতা করেছেন। যারা বলেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান কারো আত্বীয়! হতেই পারে সেটা । এই পরিস্থিতিতে চাইলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নিয়ে পারতো। কিন্তু মাননীয় সেনা প্রধান সেনাপতি বিতর্কিত হতে না দিয়ে ছাত্র-জনতা তথা সাধারণ জনগণের ইচ্ছেকে বাস্তবে রূপ দিতে এখন পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে! বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় বৈষম্য কি শুধু সরকারি চাকরিতে দূর হয়েছে নাকি সব ক্ষেত্রে! বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুধুমাত্র একটা ধর্মের অনুসারীদের দ্বারা হয়নি! এই আন্দোলনে ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকল মানুষের অংশগ্রহণে আজকের এই স্বাধীনতা! ৫ ৬ আগষ্ট ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত সাধারণ ছাত্র-জনতা ও দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী এই দেশ সংস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোন বিভেদ সৃষ্টি না করে সত্যিকারের একটি বৈষম্য মূলক দেশ গড়তে দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের এগিয়ে আসা উচিত! কিছু সুবিধাবাদী দুস্কৃতিকারী এই দেশটাকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে এখনো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, বাড়ীঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন, হামলা ও লুটপাট দখলদারিত্ব করে যাচ্ছে। আমি সংখ্যালঘু কথাটা বলতে চাই না। এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। যদি তাই হয় তাহলে অন্য ধর্মের অনুসারীদের উপর কেন এই বৈষম্য মূলক আচরণ হচ্ছে। কেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির বাড়ীঘর পোড়ানো হচ্ছে। এতো নৈরাজ্যের মধ্যেও শান্তিপ্রিয় অন্য ধর্মাবলম্বী ছাত্র জনতা রাত জেগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু এই ভাবে কতদিন চলবে! এর মধ্যে ৬ আগষ্ট রাত থেকে শুরু হয়েছে ডাকাতির আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সেনাবাহিনীর উচিত আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে অবৈধ অস্ত্র ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা। যত দ্রুত সম্ভব সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু না হলে দেশের অবস্থা আরো খারাপ হতে সময় লাগবে না। এই পরিস্থিতিতে সকল ধর্মের মানুষের উচিত হামলা, লুটপাট, দখলদারিত্ব বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। জনগন চাইলেই এই পরিস্থিতিতে থেকে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব।।

আমরা সত্যিকারের এক বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ চাই।।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন