
লিজা আক্তার, স্টাফ রিপোর্টারঃ গত ৫ আগষ্ট সোমবার (২০২৪খ্রীঃ)বিকাল থেকে রাত অবধি নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলাধীন মুছাপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু বাড়িতে অতর্কিত তান্ডব চালায় মাকসুদ পুত্র শভ বাহিনী। উল্লেখ্য মুছাপুর ইউনিয়নের হরিবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে সৈয়দ আহাম্মদ মিয়ার(৫২) গত সোমবার হামলাকারীরা শরীরে আঘাত করে আহত করলে তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটে যান। এ সুযোগে হামলাকরীরা তার বাড়িতে তান্ডব চালায়। এই হামলায় নেতৃত্বদানকারী মাহমুদুল হাসান শুভ’র সাথে প্রায় ৬০টি মোটরসাইকেল যোগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। সৈয়দ আহাম্মদ বলেন, নেতৃত্বদানকারী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ পুত্র মাহমুদুল হাসান শুভ মুছাপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার বাড়িতে তান্ডব চালায়। আমি কোনো দল করি না।দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে থেকে তিল তিল করে সম্পদ করেছি।আমার দোষ আমি নব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনের বিয়াই।এই সুত্রঃ ধরে আমার বাড়িতে হামলা করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এতে ১২ ভরি সোনা,নগদ ৮ লক্ষ টাকা লুট করে। ফ্রিজ, টিভি,এসি,খাট,সোফাসহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি করে। ঐসময় আমার পরিবারের লোকজন আতংকগ্রস্ত হয়ে ভয়ে অন্যত্র চলে যায়।এখনো আমার এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে সংকায় আছি।আমার ছেলেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দামকি দিচ্ছে শুভ বাহিনী। একইদিন কোটা আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাস্টার্স অধ্যয়নরত সাইফুল ইসলাম এর পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালায় শুভ বাহিনী।উল্লেখ্য যে,ঐদিন সাইফুল গণভবন গেরাও কর্মসূচীতে ব্যস্ত ছিলেন।সাইফুলের বাবা মতিউর রহমান বলেন, শাশনের বাগ আমার বাড়িতে আমি থাকা অবস্থায় ওরা অতর্কিত হামলা চালায়।আমি ঘরের দরজা খুলি নাই। তখন আমাকে শুভ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিবো।তৎক্ষনাৎ আমি ঘরের দরজা খুলে দৌড়ে আমার ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেই।আমার বাড়িতে হামলা করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।এতে ১০ ভরি সোনা,নগদ ৫ লক্ষ টাকা সহ মাছ-মাংসও লুট করে নিয়ে যায়।ঘরের আসবাবপত্র চুরমার করে মেসাকার করে ফেলে। ঐদিন আলী হোসেন এবং রবিউল আউয়ালের বাড়িতেও ব্যাপক ধ্বংসযগ্য চালায় দুর্বৃত্তরা।