লিজা,স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল ৫ই আগষ্ট (২০২৪ইং) সোমবার সন্ধায় মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেন এবং ইট ব্যবসায়ী রবিউল আউয়ালের বাড়িতে প্রায় ১ঘন্টা যাবৎ তান্ডব চালায় মুছাপুর ইউনিয়নের উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ পুত্র মাহমুদুল হাসান শুভ ও তার বাহিনী। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, মুছাপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনকে নিয়ে এই হামলার সূত্রপাত।উক্ত হামলায় শুভ’র উপস্থিতিতে শতাধিক মোটর সাইকেল যোগে হামলা চালানো হয়। ঐ সময় হামলার আশংকা বুঝতে পেরে আলী হোসেন ও তার পরিবার নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।আলী হোসেনকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,আমার প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এতে করে ৭০ ভরি সোনা এবং ৪০লক্ষ নগদ টাকা লুট হয়েছে। ৪০টা গরু নিয়ে যায় এবং বেকারি ভাঙচুর ও লুট করে। তিনি আরও জানান এসি,ফ্রিজ,ফ্যান,লাইট,খাট,সোফা,ড্রেসিং টেবিল,মোটর সাইকেল,২টা গাড়ি , ১টা মোটর বাইক, পুরো বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র আগুনে গিয়েছে। অপরদিকে ইট ব্যবসায়ী রবিউল আউয়ালের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কেউ বাসায় ছিলাম না শুধু আমার বাবা একা বাসায় ছিলেন ।আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় শুভ বাহিনী। আমার বৃদ্ধ বাবা এগিয়ে গেলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, এবং পরবর্তীতে আবার তাদের ওপর হামলা করবে এই বলে হুমকি থামকি দিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, শুভ’র উপস্থিতিতে এই তান্ডব চালানো হয়েছে। আমার আনুমানিক ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এতে ২২ ভরি সোনা, নগদ ২৩ লক্ষ টাকা , 5 লক্ষ 50 হাজার টাকার মটর বাইক এবং বাড়ির খাট,সোফা,ফ্রিজ, ড্রেসিং টেবিল, ওয়ারড্রব সহ যাবতীয় আসবাবপত্র আগুন জ্বালিয়ে দেয়। উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একজনকে সাপোর্ট করি,এজন্য এই লুটপাট। আমরা ভারপ্রাপ্ত প্রশাসন, জনগণ এবং আপনাদের মাধ্যমে এই নির্মমতার বিচার চাই।