প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত: বড় বন্যার আশঙ্কা

মিনহাজুল বারী, বগুড়াঃ বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গেলো ২৪ঘন্টায় উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, সারিয়াকান্দির ইছামারায় ৫০০ মিটার, হাটশেরপুরে ৩০০ মিটার, কর্নীবাড়ীতে ১০০ মিটার, সোনাতলার সুজাতপুরে ১৫০ মিটার, সারিয়াকান্দীর শিমুলদায়েরে ৬ মিটার এবং ধুনটের শহড়াবাড়ীতে ৬ মিটার ঝুঁকির মুখে আছে। জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানি বাড়ার কারণে সারিয়াকান্দির চরগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দির কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি, চালুয়াবাড়ির চরাঞ্চলে ও সোনাতলার তেকানী চুকাইনগর, খাবুলিয়া, চর চুকাইনগর, মির্জাপুর, নিশ্চিন্তপুরসহ নিচু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, দীর্ঘ ৪৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এখনও কোনো ঝুঁকি দেখছি না। ছয়টি পয়েন্টে নদী ভাঙলেও সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ইছামারা অংশে। কারণ নদী থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। গত বছর সেখানে এক হাজার ৭০০ মিটার ভেঙে ছিল। সেখানে কাজ করা হয়েছে। যমুনার ভাঙনের যে গতি তাতে তীব্র ভাঙন শুরু হলে বাঁধ পর্যন্ত ঠেকে যেতে বেশি সময় লাগবে না। এবিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সারিয়াকান্দী, সোনাতলা, ধুনটের বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেছি। জনগণের কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। জেলার ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, অতি জরুরিভাবে ৫০০ মেট্রিকটন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদপত্র দেওয়া হয়েছে। আশা করি দুই এক দিনের মধ্যে সেগুলো পৌঁছে যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন