প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

মির্জাপুর সরকারি এস কে(সদয় কৃষ্ণ)পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুমন সান্যালের হতে ছাত্র অমানবিক নির্যাতন

টাংগাইলে মির্জাপুর সরকারি এস কে (সদয় কৃষ্ণ) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমন সান্যাল দ্বারা নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র নির্যাতিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ২০২৩ ইং স্কুল চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে । জানা যায় ক্লাস টিচার সুমন নামের এক শিক্ষক স্কুলের পাঠদান বাদ রেখে টেস্ট পরীক্ষার খাতার নাম্বার গণনা করতে ছিল।
এমন সময় ফাহিম হোসেন হিমু নামের বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র কে টেষ্ট পরীক্ষার একটি খাতা দিয়ে নাম্বার গণনা করতে বলেন। গণনা করার সময় ঐ ছাত্র যোগে একটু ভুল করে। শিক্ষক বলেন কেন ভুল হল।ছাত্রটি তখন বলেন স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে আমারকে মাফ করে দেন। এ কথা শোনার পর স্যার রেগে গিয়ে ছাত্রর চুল ধরে অনেক সময় ঘোরাতে থাকে এবং চড় থাপ্পর মারতে থাকেন।পরে ব্ল্যাকবোর্ডে মোটা করে চক দিয়ে লিখে দেন এবং সেটা নাক দিয়ে মুছান। শিক্ষক তারপরেও ক্ষান্ত হননি বরং তিনি স্কুলের মেঝেতে চক দিয়ে বৃত্ত আঁকে দেন এবং সেটা নাক ক্ষত দিয়ে শ্রেণী কক্ষের উপস্থিত সকল ছাত্র-ছাত্রী, সামনে ঐ ছাত্রকে দিয়ে মুছান এবং তাকে টানতে থাকেন। শিক্ষক সুমন সান্যাল আরো বলেন যদি অভিভাবকের কাছে বলস তবে আগামীকাল আরো বেশি করে মার খাবি।কোন অভিভাবক আমার কিছু ছিঁড়তে পারবে না । ছাত্রটি অনেক লজ্জা এবং অপমান বোধ করে বাসায় কান্নাকাটি শুরু করে অপমানে আত্মহত্যা করবে বলে জানাই।

এ ব্যাপারে জানা যায় সন্তানের কথায় অভিভাবক সারারাত সন্তানের কাছে জেগে থাকে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে। অভিভাবকগণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব রফিকুল ইসলাম কে ঘটনাটি জানালে।

(০৫অক্টোবর)বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকার সময় যাইতে বলেন । যথাসময়ে অভিভাবকগণ স্কুলে গেলেও শিক্ষক সুমন সান্যাল অনুপস্থিত থাকেন। সরজমিনে ঘটনার বিষয়ে সহপাঠীদের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনাটি সত্য এবং নিন্দা প্রকাশ করেন। অনেকের সাথে এরকম আচরণ করে বলে তারা জানান । সহপাঠীর আরো বলে এই শিক্ষকের কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। সহ পাঠিদের কাছে তথ্য নেওয়ার সময় আরেক শিক্ষক জনাব চন্দন সরকার সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং বলেন আমরা যা খুশি তাই করব আপনারা স্কুলে ঢুকছেন কেন।সুমন সান্যাল শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কোন ছুটির দরখাস্ত দেয় নাই এবং আমাকে কিছু বলেন নাই তখন সময় ১১:০০ টা বাজে। প্রধান শিক্ষক বিষয়টা সমাধান করার জন্য অপরগতা প্রকাশ করে,বলেন আমার দ্বারা সমাধান করা সম্ভব না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শরণাপন্ন হতে বলেন।বিষয়টি মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে মুঠো ফোনে জানানো হয় তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন এবং ছাত্রটি যাতে অপমানে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় তাহার জন্য খেয়াল রাখতে বলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে বিষয়টি জানানো হয় এবং অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানাযায়। এলাকাবাসী শিক্ষক সুমন সান্যাল এর ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সকলে বলেন তিনি অনেক খারাপ লোক, এবং উনার ব্যাপারে অনেক খারাপ কিছু আগেও ঘটেছে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন