প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

বিমানের জাল টিকেট বিক্রিতা সাদরা দরবার শরীফের বাকিবিল্লাহ মেশকাত চৌধুরী গ্রেপ্তার

 মো:মাহবুব আলম স্টাফ রিপোর্টার : হজ্জ ও ওমরা ট্রাভেলস এজেন্সি ব্যবসায়ী কে টার্গেট করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক সাদরা দরবার শরীফের বাকিবিল্লাহ মেশকাত চৌধুরী । বিভিন্ন সময় লোভনীয় অফারের প্রচারণা চালাচ্ছে ভিবিন্ন মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনের মাধ্যমে ( ইমাম মুয়াজ্জিন তার প্রতারণা সম্পর্কে অবগত নয়) । এসব প্রচারণার ফাঁদে পা দিয়ে অনেক নামীদামী ট্রাভেলস ব্যাবসায়ী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই প্রতারণায় পড়েন ওয়ালিয়া এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সীর চেয়ারম্যান মো: অলিউল্লাহ ভূইয়া(৪২), তিনি তার সাথে এজেন্ট ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করেছিলেন লেনদেন। অনলাইনেই দেওয়া হচ্ছে এয়ার টিকিট। কিন্তু ফ্লাইটের দিন বিমানবন্দরে গিয়ে হজ্জ যাত্রীরা বুঝতে পারছেন তার টিকিটটি ভুয়া। এভাবে মানুষকে ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাদরা দরবার শরীফের বাকিবিল্লাহ মেশকাত চৌধুরী । গতকাল পুলিশ মোবাইল টেকিং মাধ্যমে জানতে পারে বাকিবিল্লাহ মেশকাত চৌধুরী তার নিজ বাসায়, তখন পুলিশ তার বাসায় উপস্থিত হয়ে তার রান্না ঘরের রুমের বাক্স থেকে বের করে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রতারণার দায়ে ১ নাম্বার বিবাদী বাকিবিল্লাহ মেশকাত চৌধুরী (৩৮), গ্রেফতার করেছে ডিবি, আর বাকি তিন জনের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াদিন। জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন এয়ারলাইনের ওমরাহ টিকিট কম দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতো বাকিবিল্লাহ মেশকাত চৌধুরী । সাশ্রয়ী দামে টিকিট বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিতো। সরবরাহ করতো জাল টিকিট। নিজে লেবাস-দাড়ি আলেন হয়ে তার টার্গেটও ছিল সততার সাথে ব্যবসায়ি আলেমদের কে। নিন্মে বাদি মো: অলিউল্লাহ ভূইয়া সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অভিযোগের কপি তুলে ধরা হলো। জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করতেছি যে, আমি ওয়ালি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে সততার সাথে ট্র্যাভলস এজেন্সী ব্যবসা করে আসতেছি। বর্নিত ০৩নং বিবাদীর সাথে আমার পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদ ঘটনার কয়েকমাস আগে ০৩নং বিবাদী আমাকে ০১নং বিবাদীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমার ট্র্যাভলস ব্যবসার সুনাম ও খ্যাতি দেখে ০১ ও ০৩নং বিবাদীদ্বয় বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে আমার সাথে যোগাযোগ করতো এবং আমাকে বলতো যে, তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১,৭০,০০০/- টাকায় ওমরাহ প্যাকেজ করে দিতে পারবেন। আমি উক্ত বিবাদীদের বিষয়ে ০৪নং বিবাদীকে জিজ্ঞাসা করলে ০৪নং বিবাদী আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, আমি নিশ্চিন্তায় ০১ ও ০৩নং বিবাদীর সাথে লেনদেন করতো পারি এবং কোন সমস্যা হলে তিনি দায়ী। ০৩নং বিবাদীর কথায় আমি আশ্বস্ত হয়ে বিবাদীদেরকে আমার কুমিল্লা অফিসে দাওয়াত করি। বিগত ০৩/০৩/২০২৪ইং তারিখ বেলা অনুঃ ০২.০০ ঘটিকার সময় বর্ণিত বিবাদীরা আমার কুমিল্লা অফিসে আসলে আমি তাদের সাথে ৩২ জনের ওমরাহ প্যাকেজ বাবদ (১৭০,০০০ × ৩২= ৫৪,৪০,০০০/-টাকা) কথাবার্তা চূড়ান্ত করি। তৎপ্রেক্ষিতে নগদে ১১,৪৮,০০০/-টাকা বিবাদীদের হাতে দেই। সমূদয় টাকাগুলো বিবাদীরা গুনিয়া, বুঝিয়া সঠিক পাইয়া ০২নং বিবাদীর ভেনিটি ব্যাগে দিয়ে আমার অফিস থেকে বিবাদীরা চলে যায়। পরবর্তীতে ইং ০৫/০৩/২০২৪ তারিখ থেকে ২৭/০৩/২০২৪ইং তারিখের মধ্যে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে আমার প্রতিষ্ঠানের নামীয় সিটি ব্যাংক লিঃ, কান্দিরপাড় শাখা এর হিসাব নং- ১৫০৩৭২৯৭৭৮০০১ থেকে ০১নং বিবাদীর এবং তার প্রতিষ্টানের নামীয় পদ্মা ব্যাংক লিঃ, মিরপুর শাখা, ঢাকা এর হিসাব নং-০০৩৯১২৯০০২৭৫২ ও ০০৩৯১২৯০০৮০২৩-এ ৩২,৯২,০০০/-টাকা প্রেরণ করি। উক্ত টাকা নেওয়ার পর ০১নং বিবাদী আমাকে ৩২জন হাজ্বীর টিকেট প্রদান করলে আমি ৩২জন হাজ্বীকে কুমিল্লা থেকে ওমরাহের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করি কিন্তু বর্ণিত হাজ্বীরা বিমান বন্দরে যাওয়ার পর জানতে পারেন যে, ০১নং বিবাদী কর্তৃক দেওয়া টিকিটগুলো ভুয়া। এরপর থেকে ০১ ও ০২নং বিবাদীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারতেছি না। এদিকে ৩২জন হাজ্বী ঢাকায় হোটেল ভাড়া করে অবস্থান করতে থাকাবস্থায় ০৩নং বিবাদী আমার সাথে যোগাযোগ করে ০১নং বিবাদীর পক্ষ নিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দিলে উক্ত ৩২ জন হাজ্বীকে টিকিট দিতে পারবেন মর্মে জানায়। এই অবস্থায় ইং ০২/০৪/২০২৪ তারিখ ০৩নং বিবাদীর দেওয়া একটি ব্যাংক হিসাবে আরো ১০ লক্ষ টাকা প্রেরণ করি। ০৩নং বিবাদী উক্ত ১০ লক্ষ টাকা নেওয়ার পর আমার সাথে গড়িমসি করতে থাকে। এই অবস্থায় আমি ০১,০২ ০৩নং বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে ০৪নং বিবাদীর সাথে যোগযোগ করলে উক্ত বিবাদী আমার জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করতেছি যে, আমি ওয়ালি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে সততার সাথে ট্র্যাভলস এজেন্সী ব্যবসা করে আসতেছি। বর্নিত ০৩নং বিবাদীর সাথে আমার পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদ ঘটনার কয়েকমাস আগে ০৩নং বিবাদী আমাকে ০১নং বিবাদীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমার ট্র্যাভলস ব্যবসার সুনাম ও খ্যাতি দেখে ০১ ও ০৩নং বিবাদীদ্বয় বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে আমার সাথে যোগাযোগ করতো এবং আমাকে বলতো যে, তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১,৭০,০০০/- টাকায় ওমরাহ প্যাকেজ করে দিতে পারবেন। আমি উক্ত বিবাদীদের বিষয়ে ০৪নং বিবাদীকে জিজ্ঞাসা করলে ০৪নং বিবাদী আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, আমি নিশ্চিন্তায় ০১ ও ০৩নং বিবাদীর সাথে লেনদেন করতো পারি এবং কোন সমস্যা হলে তিনি দায়ী। ০৩নং বিবাদীর কথায় আমি আশ্বস্ত হয়ে বিবাদীদেরকে আমার কুমিল্লা অফিসে দাওয়াত করি। বিগত ০৩/০৩/২০২৪ইং তারিখ বেলা অনুঃ ০২.০০ ঘটিকার সময় বর্ণিত বিবাদীরা আমার কুমিল্লা অফিসে আসলে আমি তাদের সাথে ৩২ জনের ওমরাহ প্যাকেজ বাবদ (১৭০,০০০ × ৩২= ৫৪,৪০,০০০/-টাকা) কথাবার্তা চূড়ান্ত করি। তৎপ্রেক্ষিতে নগদে ১১,৪৮,০০০/-টাকা বিবাদীদের হাতে দেই। সমূদয় টাকাগুলো বিবাদীরা গুনিয়া, বুঝিয়া সঠিক পাইয়া ০২নং বিবাদীর ভেনিটি ব্যাগে দিয়ে আমার অফিস থেকে বিবাদীরা চলে যায়। পরবর্তীতে ইং ০৫/০৩/২০২৪ তারিখ থেকে ২৭/০৩/২০২৪ইং তারিখের মধ্যে বিভিন্ন

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন