নিজস্ব প্রতিবেদন: আমরা যা কিছুই করি না কেন, চালিকাশক্তি হিসেবে পেছনে দুটি উদ্দেশ্যের যেকোনো একটি উদ্দেশ্য থাকে-আনন্দ অনুসন্ধান অথবা কষ্টকর কিছুকে এড়িয়ে যাওয়ার ইচ্ছা। এখন আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি হস্তমৈথুনজাত মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য প্রচেষ্টা নিয়োগ করতে কতটা কষ্ট স্বীকার করেছেন। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন- • এই আসক্তি আপনার আত্মসম্মানে কতটা আঘাত করে এবং তা দূর করতে কতটা অধ্যাত্মিকতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ নিযুক্ত করেছেন? • এটা আপনার বর্তমান কিংবা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে? • নিজের কামনার দাস হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আপনার নিজের কেমন অনুভূতি সঞ্চারিত হয়? ওপরের প্রশ্নগুলোর উত্তরে যতটা মনোযোগ দেবেন, ঠিক ততটাই এই আসক্তিকে নেতিবাচক হিসেবে আবিষ্কার করতে শুরু করবেন। ইতিবাচক আবেগ যতটা শক্তিশালী হবে, ততটাই ইতিবাচক ফলাফল পেতে শুরু করবেন। তারপর নিজস্ব লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলুন। এটা হস্তমৈথুন বন্ধ করতে সহায়তা করবে। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন- যদি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্মনেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তবে কেমন বোধ করবেন? একমাত্র আল্লাহর জন্য নিজের কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করলে অনুভূতি কেমন হবে? আপনার এ ধরনের আসক্তি না থাকলে পারস্পরিক সম্পর্কে কী ধরনের উন্নতি আশা করেন? এই অভ্যাস বন্ধ করার ফলে যে উপকার পাবেন, সেটির ওপর দৃষ্টিপাত করলে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও প্রণোদনা বৃদ্ধি পাবে। _________________ জুবায়ের ইবনে সাঈদ তাকমিল (মাস্টার্স), দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত ১১ রমজান ১৪৪৫ হিজরি ৮ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ