খন্দকার সেলিম রেজা স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র রমজান মাসের সাশ্রয়ী বাজার অগ্রাধিকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাজার’ এর শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসন । ঢাকা বিভাগ আজ শনিবার (১৬ ই মার্চ ২০২৪ খ্রি.)রমজানে সাশ্রয়ী বাজার – মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, নরসিংদীর উদ্যোগে রোজার সাশ্রয়ী বাজার’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।পঞ্চম রোজার দিনে জেলা প্রশাসন, নরসিংদীর উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির অনন্য আয়োজন,রোজার সাশ্রয়ী বাজার’ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড.বদিউল আলম।রমজান মাসজুড়ে প্রতি সপ্তাহের শনিবার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার শিক্ষা চত্বর সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু পৌর পার্কে সকাল ৯.০০ টা থেকে এ বাজার বসবে।জেলা প্রশাসন,নরসিংদীর উদ্যোগে এ বাজারে প্রচলিত বাজার দরের থেকে কম মূল্যে গরুর মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম,ফলমূলসহ টাটকা শাকসবজি ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,এ বাজারে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করা করা হচ্ছে।যা একটা গরু দেড় ঘণ্টায় মধ্যেই বিক্রি শেষ হয়ে যায়।নরসিংদীর সর্বস্তরের জনগণের জন্য উন্মুক্ত এ বাজার পবিত্র রমজান মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে প্রথম দিন থেকেই।ক্রেতাগণ গরুর মাংস,ডিম, মুরগী, শাক-সবজি সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয় করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।আজ রোজার পঞ্চম দিনে সাশ্রয়ী বাজার’ এর উদ্বোধনের পরে দেখা যায় প্রতিটি সামগ্রী স্থানীয় বাজারের তুলনায় স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।ব্রয়লার মুরগী স্থানীয় বাজারসমূহে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও রোজার সাশ্রয়ী বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৮৫ টাকা কেজি দরে।লাউ, বেগুন,করলা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও দেখা গেছে কেজি প্রতি ২০-২৫ টাকা কম দরে বিক্রি করা হয়েছে।ডিম প্রতি হালি বাজারে ৪২-৪৪ টাকা হলেও এ বাজারে মূল্য হালিপ্রতি ৩৬ টাকা।জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড.বদিউল আলম জানান,সরাসরি খামারি, পোল্ট্রি চাষি,ও ডিলারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাম কমানো সম্ভব হয়েছে।এর সুপ্রভাবে অন্যান্য বাজারগুলোতেও দাম কমতে শুরু করেছে বলে তিনি জানান।পার্শ্ববর্তী শিক্ষা চত্বর সংলগ্ন নয়া বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,গরুর দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা ও মুরগীর দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে গেছে ‘রোজার সাশ্রয়ী বাজার’ এর প্রভাবে। আগামী মঙ্গলবার হতে রোজার সাশ্রয়ী বাজারে এ সমস্ত পণ্যসমূহ ছাড়াও চাল, তেল, ডাল,আটার মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীও ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যাবে।