আজ আমার একমাত্র ছেলে এস এম সিফাতুল ইসলাম আমার কলিজার টুকরা আমার হৃদয়ের স্পন্দন এস এম সিফাতুল ইসলাম প্রাপ্য শুভ জন্মদিন। দেখতে দেখতে কখন 20 বছরে পাড়ি দিল তা বুঝতেই পারলাম না ব্যস্ততার মাঝে সেই ছোট্ট ছেলেটি আজ আমার এত বড় হয়ে গেল। দু বছরের হাটি হাটি পা পা করে একটা ছেলেকে নিয়ে আমার জীবন সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। অনেক ঝড় তুফান পার করে তাকে নিয়ে জীবনের এতগুলো বছর এতগুলো দিন কালই দিলাম কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে সব ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে বাসায় ফিরে এসে যখন আম্মু ডাকটা শুনি তখন সব ক্লান্তির অবসান ঘটে। মাঝে মাঝে মা ছেলের ঝগড়া হয় সে বলে তুমি আমার কয় বছরের বড় তুমি পৃথিবী সম্পর্কে কতটুকু বোঝো কি বুঝো তুমি। হাহাহা তখন খুব হাসি আর বলি যে আসলে সে আমার বাবা। শত কষ্ট এক নিমিষেই ভুলে যায় যখন ওর মুখের দিকে তাকাই তখন মনে হয় না আমার এই বেচে থাকাটা বেঁচে থাকতেই হবে ওর জন্য। আমার জীবনের সব সংগ্রাম শব্দের চাপ সবকিছু ওকে ঘিরে ওকে ভালো রাখার জন্য। তাই বলি তোর উদ্দেশ্যে বাবা যে বড় হয়ে কখনো কোন অসৎ পথে চলবে না তোমাকে অনুসরণ করে জীবনে অগ্রসর হবে আল্লাহ কখনো কোন জায়গায় তোমাকে বিপদে ফেলবে না উদ্ধার হবেই ইনশাআল্লাহ। আমি জানিনা তোর যাওয়া কতটুকু আমি পূরণ করতে পারি তবে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি তোকে ভালো রাখার হাসি খুশি রাখার যেন কোন কষ্ট কোন অভাব তোর জীবনে না থাকে। আমার শত কষ্ট হোক আমি সব সময় তোর চাপা পড়ে চেষ্টা করছি এই জীবনটা পার করে দিছি শুধু তোকে ভালো রাখার জন্য নিজের ভালো থাকাটা চিন্তা করিনি ভাবি নি কখনো। তুই যখন জীবনে ভালো কিছু করবি তখন আমি আমার সব সব কষ্ট কে ভুলে যাবো। এখন ভাবি যে আসলে আমি মা হয়েছি আবার শাশুড়ি হব এটাই মনে হয় মায়েদের স্বপ্ন থাকে আমি মনে করি। আমি দোয়া করি জীবনে বারবার এই সুখময় হাসি খুশি মুখটা দিন টা তোমার জীবনে বার বার ফিরে আসে এই শুভ কামনা করি। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন সে যেন সহ তো মিস্টার সঙ্গে জীবনে অগ্রসর হতে পারে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে ভালো কিছু করতে পারে।”তুমি এই দিন এই পৃথিবীতে এসে শুভেচ্ছা তোমায়”। শুভ জন্মদিন তোমার।