প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

মাটির সংকট বাঁধের স্থানীয় সমাধান জরুরি

 শংকর ঋষি শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে সফলতা অর্জন হলেও বিনষ্ট হচ্ছে গবাদিপশুর (ঘাস) খাদ্য। বছরের পর বছর বাঁধের কাজে মাটি সংগ্রহ করতে গিয়ে হাওরে বাপ দাদার আমলের কান্দা গোপাট (পতিত ভূমি) গুলো বিনষ্ট করা হচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওড় বেষ্টিত উপজেলা শাল্লায়। । অন্যদিকে বর্ষার পানিতে এসব মাটি পলি হয়ে ভরাট হচ্ছে নদী নালা খাল বিল। এমন ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী ২/৩ বছর পর বাঁধের জন্য মাটিই মিলবেনা। বাঁধের কাজ সঠিক হওয়ায় যেমন কৃষকের কষ্টে অর্জিত একমাত্র বোরো ফসল সুন্দর ভাবে গোলায় উঠে, তেমনি গুখাদ্যের তীব্র সংকট ও বৈশাখে ধান রাখার জায়গা সমাধানের চিন্তা এখন থেকে গভীর ভাবে মাথায় রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের। সাধারণ মানুষজন মনে করেন এসব বিষয়ের স্থায়ী সমাধান জরুরি। আর এর জন্য নদী খনন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলার ছায়ার হাওর পাড়ের উজানগাঁও গ্রামের কৃষক চন্দন কুমার দে বলেন, বাঁধ তৈরি আগামী দিনগুলোতে কি করে যে হবে মাঝে মাঝে চিন্তা করি। তিনি বলেন কয়েক বছরের বাঁধ তৈরিতে হাওরের সকল কান্দা গোপাট মাটি কেটে নিয়ে শেষ। আগামীতে মাটির খুব সংকট দেখা দিবে। ফসল রাক্ষার উপকার করতে গিয়ে গুরুর খাওন (খাদ্য) বিনাশ। খাদ্যের অভাবে গরু রোগা হয়ে মরে যাচ্ছ। এর স্থায়ী সমাধান করা জরুরি বলে দাবি করেন তিনি। ভান্ডাবিল হাওর পাড়ের ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের কৃষক সাবেক মেম্বার ফারুক মিয়া বলেন, এবারই ২/৩ কিলোমিটার দুর থেকে বাঁধের মাটি আনতাছে। কেউ কেউ মাটি কিইন্যা আনছে। আগামীতে মাটির খুর অভাব হবে কি করে যে বান (বাঁধ) দিবে বলা মসকিল। এর স্থায়ী সমাধান কি করে সম্ভব জানতে চাইলে তিনি জানান,নদী খনন করলে সব সমস্যা সমাধান সম্ভব। নদী যেমন গভীর হবে আবার বান (হাওর রক্ষা বাঁধ) ও হবে। তাঁর কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ছায়ার হাওর পাড়ের শহদেবপাশা গ্রামের কৃষক মো: আবু ছালেহ । কথা হয় মামুদনগর গ্রামের বড় কৃষক হাবিবুর রহমান হবিব মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কথা কে শুনে, যে যার মতো করে দেশের উন্নয়ন কাজ করছেন। আমাদের হাওরাঞ্চলের যে অবস্থা সব বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। ফসল রক্ষা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি নদী খনন ও খুবই প্রয়োজন। অন্যতায় সামনের দিনগুলোতে বাঁধ তৈরি কঠিন হবে মাটির সংকটের জন্য। হাওর পাড়ের বাঁধ তৈরিতে বছর বছর অর্থ বরাদ্দের পরিবর্তে দু’বছরের বরাদ্দ এক সঙ্গে করে বাঁধের দুপাশে আর সিসি ৩ থেকে ৪ ফুট উচু দেয়াল তৈরি করে এবং ক্লোজার গুলোতে কজয়ে তৈরি করা হলে প্রতি বছর আর বাঁধ দিতে হবেনা। পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা প্রতি বছর বরাদ্দ ও লাগবে না। একদিকে যেমন টাকা অপচয় রোধ হবে অন্য দিকে খাল বিল ও পলি পরে পরে ভরাট হবে না।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন