প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

গ্ৰামগঞ্জে গাছে গাছে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে মৌ মৌ ঘ্রাণ

জন চন্দ্র সরকার (দিরাই প্রতিনিধি): গ্রামের অঞ্চলের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বসতবাড়ির আঙ্গিনার আম গাছগুলোতে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালাপালা। আমের মুকুলের ঘ্রাণ বইছে পুরো সবখানে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মুকুলের ঘ্রাণ। কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়েছে ছোট ছোট আম। গাছে মুকুলের সঙ্গে গুটি আমের দেখাও মিলছে। কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিতও হয়েছে।  বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুগন্ধ। গ্রামগঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রং ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে খুশি এলাকার মানুষ    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রাকৃতিক কারণেই এবার আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে।   এ বিষয়ে দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র কুমার তালুকদার বলেন, মাঘের শেষে সারা দেশে আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুবাসিত হয়ে উঠবে দেশ। মুকুলের যত্ন না নিলে আমের ভালো ফলন সম্ভব নয়। অনেকেই শখ করে আমগাছ লাগিয়েছেন, ভালো ফলনের আশায়। কিন্তু সময় মতো সামান্য যত্নের অভাবে এবং পোকা ও রোগের আক্রমণের কারণে আমাদের সেই আশা পূরণ হয় না। আমের মুকুল ও গুটি ঝড়ে যায়। অথচ সময় মতো একটু যত্ন নিলেই আমরা পেতে পারি সুস্বাদু আমের স্বাদ। কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনোরঞ্জন অধিকারী জানান, আমের প্রকৃত ফলন পেতে হলে অবশ্যই আমগাছে কমপক্ষে দুইবার ইমিডাক্লোরোপিড গ্রুপের কীটনাশক ও ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার আমের মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে। দ্বিতীয়বার আমের সাইজ মটরদানার মত হলে। এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান কৃষি বিভাগ অব্যাহত রেখেছে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন