এস এম আলমগীর চাঁদ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) নিয়েছি শপথ, গড়বো দেশ, পরিস্কার রাখবো বাংলাদেশ,এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুন্ডুরিয়া কাগেশ্বরী নদীতে পরিবেশ ও সচেতনতার অংশ হিসেবে দুই কিলোমিটার বিস্তৃত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে ‘পুন্ডুরিয়া শান্তি সংঘ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। শুরুর প্রথমদিনেই প্রায় আধা কিলোমিটার কচুরিপানা পরিস্কার করা হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা পরবর্তি সময় জমে থাকা কচুরিপানা পঁচে দূষিত হয়ে পড়ে কাগেশ্বরী নদীর পানি। নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় নদীর দুই পারের বাসিন্দারা। নদীর এই কচুরিপানা ধীরে ধীরে চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়। শুক্রবার (২৩ ফেব্রয়ারি) সকালে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তারা নদীর কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে। সংগঠনটির ডাকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কচুরিপানা অপসারণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পুন্ডুরিয়া গ্রামের ছাত্র-শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের প্রায় দুই শত মানুষ। কচুরিপানা পরিস্কারের শুরুর দিনে করমজা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচী, শিল্পপতি এম.এ ওহাব বাগচী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন,সমাজকর্মী মনসুর হোসেন, ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান, রজব আলী মুন্সীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সংগঠনটির পরিচালক জহুরুল ইসলাম পাপ্পি জানান, আমরা অতীতে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছি। তাই পরিবেশ ও সচেতনতার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কাকেশ্বরী নদীতে সাত দিনব্যাপি কচুরিপানা পরিস্কারের কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছি। নদীর দুইপাড়ে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। মানুষ নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও দৈনন্দিন কাজে এই নদীর পানি ব্যবহার করে থাকি। এখন থেকেই যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে অন্য সব নদীর মতোই এই নদীও হারিয়ে যাবে যা আমরা চাইনা। আমরা পুন্ডুরিয়া শন্তি সংঘ এই নদীর পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।