মোঃ আল-আমিন ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ২ টার দিকে নগরীর সরদারপাড়া মহল্লা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতাসিম বিল্লাহ জানান, রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন মহল্লায় ফ্ল্যাট বাসা বাড়ি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা করে আসছিল। বিষয়টি আমরা অনুসন্ধানে রেখেছিলাম। সোমবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ধরনের একটি খবর পেয়ে নগরীর সরদারপাড়া মহল্লায় অভিযান চালাই। সেখানে মোফাখলারুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বীনা রানী নামের এক নারী অসামাজিক ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে ভাড়াটিয়া বীনা রানীর ফ্ল্যাট থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করি। তাদের নামে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- নীলফামারীর চাঁদখানা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের (বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেয়ায় বহিষ্কৃত) সভাপতি আব্দুল বারেক, যশোরের বিপাশা খাতুন এবং দিনাজপুরের সাদিয়া আকতার। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল জানান, বীনা রানী নামের একজন রণচন্ড্রিতে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন। তিনি উপজেলা নির্বাচনে সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে তিনি বা তার বাসায় কোনো অসামাজিক কাজ হয় কিনা সেটি আমার জানা নেই। কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রশিদুল আলম বাবু জানান, আব্দুল বারেক চাঁদখানা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অতএব তার কোনো কর্মের দায় দেনা স্বেচ্ছাসেবকলীগ বহন করবে না। তদন্ত সূত্রগুলো জানায়, বীনা রানী নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের রণচন্ডি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি রংপুরে বন্ধন জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক। তার বিরুদ্ধে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে নারী ও পুরুষের বিবাহ বহির্ভূত অসামাজিক মেলামেশার ব্যবসা করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে ঘটনার সময় তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের আটকের সময় তিনি সটকে পড়েন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন সূত্র জানায়, রংপুর মহানগরীর অনেক ভাড়া ও নিজস্ব বাসাবাড়িতে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের তথ্য তাদের কাছে আছে। বিভিন্ন পেশার আড়ালে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব বাসার খদ্দের সমাজের একশ্রেণির প্রভাবশালী ও পেশাজীবী লোকজন। এসব ব্যক্তির প্রভাব এবং ক্ষমতাকেও ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীরা।