প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

রংপুরের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল জামাই শাশুড়ি পুলিশ হেফাজতে

শিল্পী আক্তার: রংপুর নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার দাড়ারপার মৃত্য জমির উদ্দিনের ছেলে খোয়া ব্যবসায়ী ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ নুর ইসলাম(ব্যাঙ’র) রহস্য জকন মৃত্যুর সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। সংবাদ প্রকাশের ১২ ঘন্টার মধ্যে স্ত্রী মোছাঃ সখিনা বেগম ও জামাই শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে শাশুড়ি মোছাঃ সখিনা বেগম ও জামাই শফিকুল ইসলাম কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে। এদিকে জামাই শাশুড়ি আটকের খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়াড় সাথে সাথে এলাকায় (টক অফ দা টাউন) ঘটনার ১৪ দিন পর নুর ইসলাম’র মৃত্যু রহস্যের নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে এলাকাবাসী সচেতন মহল চায় সত্য উন্মোচন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হোক এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নিহত নুর ইসলাম ব্যাঙ’র সাথে স্ত্রী সখিনা, ছেলে সুজন ড্রাইভার ও জামাই শফিকুল ইসলাম পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ার শুনা যায়,তাদের ঝগড়ার আওয়াজ শুনে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে নুর ইসলাম অসুস্থ বলে কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি।এমনকি কাউকে মৃত নুর ইসলাম ব্যাঙ’র লাশ ও দেখতে দেয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ করে আসছিল।বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হলে মৃত নুর ইসলাম’র স্ত্রী সখিনা ছেলে সুজন ও জামাই শফিকুল ইসলাম এলাকাবাসী নিকট বলেন আমার শ্বশুর নুর ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আবার পরিবারের কেউ কেউ বলেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করেছেন আর পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করায় বিষয়টি নিয়ে আরও সন্দেহের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মধ্যে। হত্যা না কি আত্মহত্যা বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয় বৃদ্ধ নুর ইসলাম ব্যাঙ’র মৃত্যুকে নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে নুর ইসলাম ব্যাঙ’র নিজ বাড়ি দাড়ারপার এলাকায়। সেখানে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে না পেরে দ্রুত তার লাশ হার্ট অ্যাটাকের কথা বলে মৃত নুর ইসলাম’র শ্যালক তোজার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মৃতের গোসল ও দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। লাশ না দেখতে দেয়া, হার্ট অ্যাটাকের কথা বলে মেডিকেলে নিয়ে তরিঘরি করে লাশ অন্যত্র নিয়ে গিয়ে লাশের গোসল ও দাফন করা, পুলিশ ও কাউন্সিলর আশেক আলীর রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ। তবে বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার বিভিন্ন দোকান, পাড়া মহল্লায় ও স্থানীয় লোকদের মাঝে ব্যাপক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বৃদ্ধ নুর ইসলাম ব্যাঙ কে হত্যা করে ঘরের আরার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। নিহতের জামাই শফিকুল ইসলাম সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন তার শশুর নুর ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন পুলিশকে জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে আমি জানি না বলে ফোন কেটে দেন। ঐ এলাকার নুরুজ্জামান নামের এক যুবক ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিভিন্ন লোকের মুখে জানতে পারি নুর ইসলাম ব্যাঙ আত্মহত্যা করেছে। সাথে সাথে আমি নিজেই এস আই আতিক কে বিষয়টি জানিয়েছি। এস আই আতিক ঘটনাস্থলেও গিয়েছিল কিন্তু কি কারণে উনি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে মৃত নুর ইসলাম’র শ্যালক তোজার সাথে কথা বলে চলে আসে আমি জানি না। তবে পুলিশ ইচ্ছা করলে লাশ আটক করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। তাহলে প্রকৃত ঘটনা জানা যায়তো তাকে হত্যা না কি আত্মহত্যা করেছে। আমি এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানার এসআই আতিক বলেন, আমি নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি এক ব্যক্তির জানাযার নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিভাবে মারা গেছে জানি না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলর আশেক আলী বলেন, হত্যা কি আত্মহত্যা জানিনা তবে আমিও বিভিন্ন জনের মুখে বিভিন্ন স্তরের কথা শুনতেছি কাউন্সিলর হিসেবে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার দায়িত্ব না। মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ হোসেন আলী গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামাই শাশুড়ি কে আটক করা হয়েছে,বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তের পরে নিশ্চিত করা হবে, আরো অধিক তদন্তের নিমিত্তে লাশ উত্তোলনের প্রক্রিয়াধীন ময়না তদন্ত হাতে পেলেই প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন