প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ২১ আশ্বিন, ১৪৩২ ১৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭

গাছ কাটা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান

শংকর ঋষি,শাল্লা সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা সড়কের পাশে বেড়ে উঠা শতাধিক গাছ কেটে নিধন করা হয়েছে। শাল্লা সদর থেকে আনন্দপুর পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশের প্রায় শতাধিক গাছ কে বা কারা কেটে নিয়েছে তা কেউ বলতে পারছেন না।

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, প্রয়োজন ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে সড়কের পাশের বড়ই, মেরা, কদম, রেন্ট্রি সহ বিভিন্ন জাতের গাছ। পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী শতাধিক গাছ কেটে এলাকার সৌন্দর্য হানি করা হয়েছে। প্রশাসনও গাছ কাটা বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তিও দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, যারা আইন অমান্য করে এসব গাছ কেটেছেন তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার চাকুয়া গ্রামের স্বপন কুমার দাস, উজানগাঁও গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, আনন্দপুর গ্রামের বিকাশ চক্রবর্তী, রামপুর গ্রামের কৃপেশ দাস বলেন, গাছ কাটার এমন দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন গাছ কাটার প্রতিযোগিতা চলছে। প্রয়োজন ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে সড়কের পাশের শতাধিক গাছ। এতগুলো গাছ কাটায় রাস্তার সুন্দর পরিবেশটাই নষ্ট করা হয়েছে। এসব দেখার কি কেউ নেই?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, বাহাড়া ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সহদেব দাস না—কি গাছ কাটার জন্য কয়েকজনকে বলেছেন। তিনি সড়কের মূল ঠিকাদারের সঙ্গে থেকে নিজেও রাস্তার বিভিন্ন কাজ করছেন সাব ঠিকাদার হিসেবে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সহদেব দাস বলেন, গাছ কাটার দৃশ্য দেখে আমি আমার ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজনকে বলেছি— এসব সরকারি গাছ কাটবেন না। যদি কাজের প্রয়োজনে গাছ কাটতেই হয় তাহলে সেসব কাটা গাছ তো আপনারাই নিবেন। তারপরও এতসব গাছ কাটা হচ্ছে, বাধা দিয়েও গাছগুলো রক্ষা করা যাচ্ছে না।

সড়কের কাজের ঠিকাদারের নিয়োজিত ম্যানেজার সুখরঞ্জন হাওলাদার বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে মেম্বার সহদেব দাস জানেন। গাছ কাটায় আপনাদের কোন ভূমিকা আছে কি—না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি মামলা করেন, আমি এখন জয়পুর আছি— সন্ধ্যায় কথা হবে।

এ বিষয়ে শাল্লার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুর আহসান বলেন, গাছ কাটা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে বা যারা আইন অমান্য করে এসব গাছ কেটেছেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন