এইচ.এম.সাইফুদ্দীন ও মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন: চলমান ট্রাক থেকে মাটি পড়েছে পাকা সড়কে। শুক্রবার দিবাগত রাত্রে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে তৈরি হয়েছে কাদা। দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার লোকজন। ভূজপুর-হারুয়ালছড়ি সড়ক ও নয়াহাট বাজার সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটারে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, সড়ক দুটিতে কাদা-পানি একাকার। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। একের পর এক দুর্ঘটনায় পড়ছে মোটরসাইকেল। গত রাতে কয়েক দফা হালকা বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ফলে গত দুই দিনে দুটি সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। ১৯জানুয়ারী শুক্রবার সকাল থেকে সড়ক দুটিতে অন্তত ৫ থেকে ৬টি মোটরসাইকেল কাদায় পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। সড়ক দুটিতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ভয়ে ভয়ে নিম্নগতিতে কয়েকজনকে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা গেছে। কাদায় সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন। লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হারুয়ালছড়ির গ্রামের লম্বাবিল,হাজারখীল, আমারবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা টাকার বিনিময়ে ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এসব মাটি আশপাশের গ্রামের বসতভিটা ভরাট করার জন্য নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও এসব মাটি যাচ্ছে ফটিকছড়ি ও ফটিকছড়ি উপজেলার বাইরের বিভিন্ন ইটভাটায়। মাটি নেয়ার জন্য সড়ক দিয়ে দিনরাত চলাচল করে ট্রাক ও ট্রলি। পরিবহনের সময় মাটি পড়ে সড়কে। রাতে বেশি কুয়াশা পড়লে সকালে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে থাকে। গত দুইদিন কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে কাদাপানির সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সড়ক দুটিতে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে। এ দুটি সড়ক হয়ে প্রতিদিন মোটরসাইকেল করে বাড়িতে যাওয়া-আসা করেন হারুয়ালছড়ি ইউপির ৮নং ওযার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ মামুন। তিনি বলেন, ‘মাটির ট্রাকের জন্য বিপদে আছি। এতদিন ধুলার মধ্যে ছিলাম। এখন কাদার মধ্যে আছাড় খেতে হচ্ছে। প্রশাসনকে জানালেও বিষয়টি তারা দেখছে না। হারুয়ালছড়ি নয়াহাট এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মাটি বহনকারী ট্রাক যাওয়া-আসা করে। ট্রাকের চাকার ঘর্ষণে কাদামাটি দোকানের ভেতরে পড়ে। আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি।