প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

মহিমাগঞ্জ শহীদ ফজলুল করিম পাবলিক স্কুল কর্তৃক আয়োজিত পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদন: গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নে কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন শহীদ ফজলুল করিম পাবলিক স্কুলে একটি ব্যতিক্রমধর্মী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে,স্কুলের পরিচালক মুরাদ হোসেন ও তার সহযোগী যোদ্ধাদের আয়োজনে ও মহিমাগঞ্জ মহাবিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউল হক জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।উল্লেখ্য, বছরের প্রথম দিনগুলোতে বিদ্যালয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি,সময়টা পুরনো বছরের শিক্ষা কার্যক্রমের সমাপনী শেষ ও নতুন বছরের শিক্ষা কার্যক্রম প্রারম্ভিক সংযোগ কাল।এসময় দেশের বিভিন্ন স্কুলে স্কুল শিক্ষক-অভিভাবক মিলে মিশে সম্মিলিতভাবে নানান উৎসব উদযাপন করতে দেখাগেলেও মহিমাগঞ্জ একমাত্র শহীদ ফজলুল করিম পাবলিক স্কুল এই একটি ব্যতিক্রম ধর্মী পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শীতের পিঠা উৎসবটিকে এমনভাবে সাজিয়েছে তাতে আনন্দ যেমন পেয়েছে শিশু শিক্ষার্থীরা, মা বাবা ও শিক্ষকবৃন্দ, সেই সাথে অনেক দেশীয় পিঠার নাম পিঠার পরিচিত কার্ডে লেখা নাম দেখে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকমন্ডলী ও বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ নিজের পছন্দ মতো পিঠা স্বাদ গ্রহণ করেছেন।পিঠার সাথে বাহ্যিক আকৃতিগত ভাবে যেমন পরিচিত হয়েছে তারা, তেমনি ঐ নামের পিঠার স্বাদটির সাথেও পরিচিত হয়েছে।এখানে সামাজিক শিক্ষা পাঠ্যপুস্তক এর সিলেবাসের বাইরেও উৎসবমুখর পরিবেশে অর্জন করেছে আননন্দের সাথে জিহ্বায় মজার স্বাদ।যখন কোনো ব্যক্তি পিঠা খেয়ে প্রশংসা করেছে যিনি পিঠাটি বানিয়ে এনেছেন তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেছেন। এরকম অসংখ্য রকম মজার ও আনন্দের পটভূমি তৈরি হয়েছে শহীদ ফজলুল করিম পাবলিক স্কুলের পিঠাপার্বণ উৎসবে।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ – অভিভাবকের সহায়তায় পিঠা উৎসবের একটি মহাউৎসব হিসাবে বরণ করেছে তারা এই দিনটাকে। শিশু শিক্ষার্থী, ও শিক্ষকবৃন্দ সবার জন্য কী আনন্দদায়ক ও শিক্ষণীয় করে তুলেছিল তা অংশগ্রহণকারী ও জনসাধারণের উপস্থিতিই প্রমাণ করেছে ।এধরনের পিঠা উৎসবের সামাজিক মূল্যবোধের পাশাপাশি , নতুন বছরের আগমনী সংযোগকালে অভিভাবকের মধ্যে পরিচয় ও আন্তরিকতাও লক্ষ্য করা গেছে।এটি একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। এরকম অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত শহীদ ফজলুল করিম পাবলিক স্কুলের মুল আঙ্গিনায় শীতের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আনন্দদায়ক ও শিক্ষণীয় একটি পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ ।পিঠা শুধু আমাদের জন্য লোকজ খাবারই নয়, পিঠা আমাদের বাঙালির স্মৃতি ও লোকজ সংস্কৃতির ভাণ্ডার ও ঐতিহ্যও বটে। প্রাচীন বাংলায় মিষ্টান্ন হিসাবে পিঠার জনপ্রিয়তাই ছিল সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে শীতে মানেই আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি পিঠা-পুলির উৎসব।বর্তমান জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য পিঠার পরিচিতি ও স্বাদ তাদের মাঝে থেকে যাতে বিলীন হয়ে না যায় তারই ধারাবাহিকতায় সবার সহযোগিতা পেলে এই বছরের ন্যায় প্রতিবছর পিঠা পার্বণ উৎসব পালন করব ইনশাল্লাহ শহীদ ফজলুল করিম পাবলিক স্কুলের পরিচালক মোঃ মুরাদ হোসেনের সাক্ষাৎকারে আমাদের এমটিআই টেলিভিশন ও দৈনিক সোনালী দর্পণ কে তিনি এ কথা জানান।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাকসুদা বেগম প্রধান শিক্ষিকা রংপুর চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়, মোঃ নাসির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা,মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রধান স্থায়ী সদস্য শহীদ ফজলুল করিম পাবলিক স্কুল, মানিক সাহা, আবু বক্কর সিদ্দিক লিটন সহ আরো অনেকেই।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন