নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এম টি আই আহাদ মাহমুদ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সুরজিতের বসতবাড়ি ঢুকে প্রাণনাশের ব্যর্থ চেষ্টাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ও দ্বন্দ্ব নিরসনে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেই হিন্দু পাড়া পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের পলাশবাড়ী লোনতলা হিন্দু পাড়ায় দলীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে শান্তি রক্ষায় আলোচনা হয়। সেখানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন এবং স্থায়ী শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনে ধারাবাহিক আলোচনার ব্যবস্থা করা হোক। সে পর্যন্ত এ হিন্দু পাড়াকে নিয়ে উভয়ের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা জরুরি। তবে নেতৃবৃন্দ জানান, দ্রুত বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।
এর আগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তার সদস্যদের ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হিন্দু পাড়ার বাসিন্দারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাখালবুরুজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব হোসেন বি.এস-সি, রাখালবুরুজ ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল হক চৌধুরী ডিউক, ইউপি সদস্য রশিদুল বারী কবিরাজ, রেজাউল হক ,উদয় সাহা বর্মন, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিউল ইসলাম হিরু,পৌর কৃষকলীগ সাংগঠনিক সাগর সরকার,উপজেলা জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কাইদ হাসান চৌধুরী নিলয়সহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, বিগত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে লোনতলা গ্রামে ভুক্তভোগী সুরজিতের বসতবাড়িতে সংঘবদ্ধভাবে ধারালো অস্ত্র লাঠি-সোটা হাতে অনুপ্রবেশ করে হত্যাচেষ্টায় চালিয়ে ব্যর্থ হয় আলমগীর, আরিফ, সাদেকুল গংরা। প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালানোর সময় ধারালো অস্ত্রগুলো পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিন বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় পুকুর থেকে চায়নিজ কুড়াল সহ একাধিক ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেদিন থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করাকালে সেখানে শান্তি রক্ষায় দফায় দফায় ছুটে যান একাধিক জনপ্রতিনিধি।