প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

স্বাধীন বাংলায় জাতির পিতার খুনী পরিবারের আখড়াস্থল অনুসন্ধান

স্বাধীন বাংলায় জাতির পিতার খুনী পরিবারের আখড়াস্থল অনুসন্ধান !!

রাজধানীর দক্ষিণখানের প্রেমবাগান এলাকায় প্রকাশ্যভাবে চটজলদি গড়ে উঠছে স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী পরিবারের নয়নাভিরাম সুবিশাল প্রাসাদ “দিহান শাহ কসমস প্যালেস “। স্বনামধন্য ইমারত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দিহান শাহ প্রপার্টিস লি: সহ বিভিন্ন মদদ দাতা ও সহযোগী হিসেবে কথিত দেশপ্রেমিক তথা স্থানীয় গণ্যমান্য বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, নেতা, মাস্তান ও সন্ত্রাসী ছাড়াও অদৃশ্য মহা অপশক্তি রয়েছে মর্মেও তথ্য পাওয়া গেছে। এমন বিরল ঘটনা বা দৃশ্য গোটা পৃথিবীর বুকে অবিশ্বাস্য ও ভয়ঙ্কর হিসেবেই ধারণা করা হচ্ছে !বিস্তারিত খবরে জানা গেছে, উক্ত আস্তানাটি ঐতিহাসিক মানবতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতার হত্যাকারী, দেশ-জাতির চিরশত্রু কুখ্যাত ব্যক্তিত্ব কর্ণেল মহিউদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা মহিউদ্দিন ও তার সন্তানদের বর্তমান দশ কাঠার প্লটের ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। ঠিকানা- ৬৪৭, কেসি স্কুল রোড, প্রেমবাগান, আশকোনা, দক্ষিণখান, ঢাকা- ১২৩০। এই নরপশু, লম্পট, খুনি, বেঈমান মহিউদ্দিনের একাধিক স্ত্রী -পরিবার রয়েছে বলেও জানা যায়। পূর্বেও বিভিন্ন ইমারত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান উক্ত প্লটে ভবন নির্মাণের ব্যাপারে এগিয়ে এলেও নানান জটিলতার সম্মুখীন হওয়াতে তারা চুপচাপ কেটে পড়ে। অবশেষে উক্ত ভবন নির্মাণের দায়িত্বে ” দিহান শাহ প্রপার্টিজ ” বীর দর্পে এগিয়ে এসে দুঃসাহসিকতার সাথে সকল জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নেয়। ফলশ্রুতিতে দ্রুততার সাথে সেই ১০ তলা ভবন নির্মাণ ও ফ্লাট বিক্রয় প্রায় শেষের পথে। এই প্রতিবন্ধকতা কাটানোর নেপথ্যে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী মহল, পাতি মাস্তান, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের (কথিত জননেতা ও দেশপ্রেমিক) সাথে রহস্যজনক অনৈতিক সখ্যতা তথা লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজ করা হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গবেষক ও প্রকৃত দেশ প্রেমিকগণ জানান, “জাতির পিতার হত্যাকারীদের ফাঁসি হলেও বন্ধ করা যায়নি সেসব বিদঘুটে-উগ্র পরিবারের দেহে প্রবাহিত বেঈমানের রক্ত! বন্ধ করা যায়নি গোপনে চলমান অসামাজিক, উদ্ভট, কুৎসিত বেহায়াপনা, পথভ্রষ্টতা ও বিরামহীন বজ্জাতীর অদৃশ্য ষড়যন্ত্র ! এই ভবন যেন শিঁর উঁচু করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিশ্বব্যাপী জয়জয়কারের নীরব ঝংকার ঘোষণা করছে! এই ভবন যেন জাতির পিতার রক্ত পিপাসু লম্পট ও কুলাঙ্গার পরিবারের মহামিলন বা মহানন্দের আড্ডাখানা কিংবা গোপন ষড়যন্ত্রের নতুন আখড়াস্থল! সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলার স্থপতি আমাদের জাতির পিতার খুনি পরিবারের দাপুটে শান্তিময় রাজত্ব বাংলার মাটিতে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অথচ সেখানে দেশপ্রেমিক নামের গুপ্ত বেঈমানদের সহযোগিতায় কিভাবে, কেমন যুক্তিতে এমন নয়নাভিরাম ও মনোমুগ্ধকর ভবন তৈরি হতে পারে তার গোয়েন্দা তদন্ত জরুরী। এমন কাজের মাধ্যমে উক্ত খুনি পরিবারের সঙ্গে সন্দেহজনক ভাবে বিশেষ ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপনকারী, অনুমোদনকারী, সহযোগী, মদদদাতা, শ্রমিক, কন্ট্রাক্টর, ইঞ্জিনিয়ার সহ সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবন বৃত্তান্ত তল্লাশিপূর্বক সকলকেই সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রুর সহযোগী বা প্রশ্রয়দাতা হিসেবে সূক্ষ্ম মানদণ্ড নির্ণয় ও যুক্তি খন্ডন পূর্বক কঠোর জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় আনা জরুরী “।বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে– ঐতিহাসিক খুনি, রাষ্ট্রদ্রোহী, পাষণ্ড কর্নেল মহিউদ্দিনের ঔরসধন্য পুত্র সোহেল ও তার পরিবার যথাতথা অনায়াসে প্রলাপ বকে বেড়ান যে, মহিউদ্দিন নাকি আসলে হত্যাকারী চক্রের সাথে জড়িত ছিলেন না, তাকে গভীর ষড়যন্ত্র করেই খুনিদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল! আরো জানা যায়,এই সোহেল বুক ফুলিয়ে গর্বিত চিত্তে বাপের বেটার মতো বহু বানোয়াট – উদ্ভট বক্তব্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পক্ষান্তরে রাষ্ট্রের ও মহামান্য আদালতের বিরুদ্ধাচারণের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে দেশদ্রোহী মুলক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকেন! সামাজিকভাবে আখ্যায়িত, ” কুলাঙ্গার বাপের বজ্জাত পুত্র সোহেল ” একসময় ভয়ংকর সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, কয়েদী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বডিগার্ড ছিলেন। তার নামে একাধিক মামলা চলমান আছে বলেও জানা গেছে। অতিশয় তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী এই সোহেলের অঢেল গুপ্ত সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকা সত্ত্বেও অসহায়-অভাবীর বেশ ধরে এলাকায় বিভিন্ন দোকানে বাকি খেয়ে টাকা না দিয়ে অপকৌশলে নীরব চাঁদাবাজি সহ অভিজ্ঞতার আলোকে বংশীয় ঐতিহ্য রক্ষার্থে সহজাত প্রবৃত্তিমূলক বিভিন্ন নিরব অপরাধে আজও নিরবচ্ছিন্ন নিবেদিত প্রাণ মর্মেও গুঞ্জন রয়েছে! এত কিছুর পরেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীর পরিবার না পাচ্ছে শাস্তি! না তিরস্কার! উল্টো পাচ্ছে পুরস্কার !!দিহান শাহ প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ এর নিকট মুঠোফোনে এমন ভবন নির্মাণের যৌক্তিকতা জানতে চাইলে তিনি বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বুঝিয়ে বলেন, “আমরা সরকারিভাবে অনুমোদন নিয়ে আইন মেনেই ভবন তৈরি করছি”। আরো বলেন, “এটা সাধারণ একটা বিজনেস যা যে কেউই করতে পারে! আমরা অন্যায় কিছুই করিনি! আমরা বিভিন্ন এমপি, মন্ত্রীদের ল্যান্ডও ডেভেলপ করে থাকি”।দিহান শাহ প্রপার্টিজের সহকারী ম্যানেজার মোস্তাক বিন আহমেদ (সোহেল) এর কাছে মুঠোফোনে শুদ্ধ ও স্পষ্ট বাংলায় সেই ভবন নির্মাণের যৌক্তিকতা জানতে চাইলে প্রথম অবস্থায় তিনি ভাঁজা মাছটি উল্টে খেতে না জানার ভাব ধরে একাধিকবার বলেন, আমি বুঝতে পারছি না আপনারা কি বিষয়ে জানতে বা তুলে ধরতে চাইছেন! পরক্ষণে মন্তব্যহীন থাকতে চাইলেও সাবলীল ভাবে বলে ওঠেন,” এটা কার ভবন, তিনি কে বা কি ছিলেন তা আমরা ভাবছি না! আমরা ব্যবসা করতে গিয়েছি এতোটুকুই! সরকার অনুমোদন দিয়েছে বলেই ভবন নির্মাণ করছি! অন্যায় কিছুই করিনি। আমি সরকার পক্ষেরই লোক”। তিনি আরো বলেন, “আমরা এলাকায় ভালো কাজ করছি বলেই অনেকে আমাদের বিরুদ্ধে পিছু লেগেছে বুঝতে পারলাম! এসব কারা করছে আমি বুঝি”।লক্ষ্যণীয় ছিল যে,” দুজনেই সংশ্লিষ্ট তথ্যের প্রয়োজনে নিজ নিজ সচিত্র বক্তব্য দেয়ার প্রশ্নে অনাগ্রহ স্বরূপ এড়িয়ে যান”। উভয়ের বক্তব্যের পর্যালোচনা, নিখুঁত গবেষণা ও সুক্ষ্ম বিশ্লেষণে জানা যায়– ” বক্তব্য প্রদানে দু’জনের মাঝেই ভয়, লজ্জা, সংকোচ, উতকন্ঠা, দুঃখ প্রকাশ, এবং অপরাধবোধ সমূহের অভাব সুদৃঢ় ছিলো ! এমনকি জাতির পিতার প্রতি প্রয়োজনীয় কিঞ্চিৎ পরিমাণ সম্মান প্রদর্শন থেকেও বিরত থাকতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, তাদের কথার ভাঁজে ও সুরে বঙ্গবন্ধুর খুনি, দেশদ্রোহী, নরপিশাচ, কর্নেল মহিউদ্দিন ও তার পরিবারের প্রতি ঘৃণা, আপত্তি,ক্ষোভ কিংবা ভর্ৎসনা প্রকাশ তো দূরের কথা! উল্টো সেই রাষ্ট্র-জাতি মহাবিধ্বংসী, কাণ্ডজ্ঞানহীন, শিক্ষিত নামের মহাগণ্ডমূর্খ, বিদঘুটে-বিষাক্ত ও ভীতিকর পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা মিশ্রিত রহস্যময় শোকের লুক্কায়িত ছায়া পরিলক্ষিত হয়! বিষয়টি চরম বজ্জাতি ও দাপুটে পক্ষপাত দুষ্টতার সর্বনিকৃষ্ট ও জঘন্যতম বৈশিষ্ট্য মন্ডিত হিসেবে পরিপূর্ণ বটেই “!!আরও জানা যায়, “দিহান শাহ কসমস প্যালেস” নির্মাণের সহযোগীদের পেছনে রয়েছে ভয়ংকর অপশক্তির অদৃশ্য কালো হাত। কাজেই কেউ মুখ খুলতে নারাজ। স্বাধীন-সার্বভৌম লাল সবুজের বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহানায়কের কঠোর জীবনবাজি, ত্রিশ লক্ষ তরতাজা প্রাণ, অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত এবং এক সাগর রক্তের দামে কেনা এই সোনার বাংলাদেশে কোথায় কিসের এমন অপশক্তির ষড়যন্ত্র-জ্বাল এখনো অবশিষ্ট ; যা কিনা রাষ্ট্রদোহিতার ভয়াল ইঙ্গিত বহন করে ; তাও আবার বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতার বিরুদ্ধে! এর সব কিছুই শীঘ্র গোয়েন্দা তদন্তে বের করে গোড়া সহ উপড়ে ফেলতে হবে এটাই বাঙালি জাতির প্রাণের দাবি ।বাংলার সুধী ও সচেতন সমাজ মনে করেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতার স্বপরিবারে প্রাণনাশকারী, রক্ত পিপাসুদের উচিত বিচার হলেও উচিত শিক্ষা আদৌ হয়নি। এদের উচিত শিক্ষা দেয়ার বিচিত্র পদ্ধতির একটি উল্লেখ করে তারা বলেন, ” জাতির পিতার খুনির সকল পরিবারের সমস্ত প্রকার অর্থ-সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করে সেখানে জাতির পিতার পুরো পরিবারের স্মৃতি-ভাস্কর্য নির্মাণ করে নব উদ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার ও আলোড়নের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস অবশ্যই তৈরি করা উচিত “।এত বড় মস্তো খুনি, ভয়ঙ্কর কুচক্রী, মানবতা বিরোধী, প্রামাণ্য দেশদ্রোহী, রাষ্ট্র-সমাজের প্রকাশ্য শত্রুর পরিবারকে কারা-কেন-কিভাবে, কি উদ্দেশ্যে-স্বার্থে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েও অবুঝের মতো ন্যাকা সেজেছে সবই তল্লাশীর মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত ও জিজ্ঞাসাবাদের লক্ষ্যে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাংবাদিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান শীঘ্রই অভিযান চালনা করবে বলে জানা গেছে। তাছাড়াও দেশ ও জাতির স্বার্থে নৈতিক দায়িত্ব পালনে ইতিপূর্বেই উক্ত ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয় বের করে প্রচার- প্রকাশ করার লক্ষ্যে একটি জাতীয় মানের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছে বলেও প্রকাশ রয়েছে। এই ব্যাপারে বিভিন্ন সামাজিক-রাষ্ট্রীয় গবেষক ও চিন্তাবিদগণ মন্তব্য করেন ” এমন মহা জটিল ও কুটিল ঘটনার বিষয়ে জানতে এগিয়ে গেলে সাংবাদিক হত্যা বা গুম হওয়া দেশীয় প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক ঘটনা মাত্র ! কাজেই সাধু সাবধান “!!গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজের দর্পণ এবং জনতার আদালত।ইতোমধ্যেই নাছোড়বান্দা ও সাহসী সাংবাদিকের কারণে উক্ত বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যম ও ফেসবুকে প্রচার চলমান আছে বলে দেখা যাচ্ছে। এই খবর প্রচার ও প্রকাশনার মাধ্যমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দেশের সকল গণমাধ্যম ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান সহ মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সকল গোয়েন্দা সংস্থার জরুরিভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। সেই সাথে জাতির পিতার হত্যাকারী সকল পরিবারের বিরুদ্ধে নব উদ্যমে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশের প্রত্যেক শ্রেণী ও পেশার মানুষের সুচিন্তিত ও গবেষণালব্ধ মতামত আহবান করা যাচ্ছে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন