কাশিমপুরে ধর্ষন মামলা ১৩ লক্ষ টাকায় রফাদফার চেষ্ঠা । গাজীপুর মহানগর কাশিমপুরের ৩ নং ওয়ার্ডের বারেন্ডা এলাকায়,ফাতেমা নামক এক নারীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তিন বছর যাবতৎ ধর্ষন করে আসছে ধর্ষক দুলাল মন্ডল।বৃহস্পতিবার ৭ ই ডিসেম্বর ধর্ষিতা ফাতেমা বাদী হয়ে ধর্ষক দুলাল মন্ডল এর বিরুদ্ধে কাশিমপুর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত ধর্ষণ এর অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী ফাতেমা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করার জন্য দুলাল মন্ডলের নিকট গেলে,ধর্ষক দুলাল মন্ডল এর সাথে ফাতেমার একটি সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়,গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক তারই ধারাবাহিকতায় দুলাল মন্ডল দীর্ঘ দুই বছর যাবতৎ ফাতেমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ১৩-০৮-২০২৩ রাতে ফাতেমার নিজ গৃহে দুলাল মন্ডল তাকে একাধিকবার ধর্ষন করেন। এ সময় ফাতেমা বিয়ের কথা বললে, দুলাল মন্ডল ফাতেমার সঙ্গে সকল সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। এ সময় ফাতেমা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে,বিষয়টি ফাতেমার পরিবার দেখে ফেললে,পরিবারের সকলেই আলোচনা সাপেক্ষে গত ৪-১২-২০২৩ সোমবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাফিউল করিম বরাবর উপস্থিত হন। এ সময় ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মোল্লা ও ৬ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান তুলা অভিযুক্ত দুলাল মন্ডল ও ফাতেমার বিষয়ে সামাজিকভাবে মীমাংসা ও সুষ্ঠু বিচার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাশিমপুর থানা থেকে ভুক্তভোগী ফাতেমাকে নিয়ে যান।৬ ডিসেম্বর বুধবার রাত ১০টার সময় ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান তুলা,উভয়পক্ষকে নিয়ে সামাজিক সমাধানের জন্য বসে।তবে বিচারে বসলেও ফাতেমাকে দুলাল মন্ডলের স্ত্রীর স্বীকৃতি বিষয়ে আলোচনা না করে তার ইজ্জত বাজার দর হিসাবে ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন ফাতেমা ও তার পরিবারকে।কিন্তু ভুক্তভোগী ফাতেমা টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করতে না চেয়ে স্বামীর স্বীকৃতি চেয়ে আকুতি মিনতী করেন,যার ফলে বিচারের কোন সমাধান করতে পারেননি বিচারক মণ্ডলীরা। পুনরায় কাশিমপুর থানার দারস্ত হন ভুক্তভোগী ফাতেমা ও তার পরিবার। এ সময় ফাতেমা বলেন, আমি টাকা পয়সা চাই না।মান ইজ্জতের ক্ষতি টাকা পয়সা দিয়ে পূরণকরা সম্ভব নয়।আমি শুধু আমার ইজ্জত চাই।দুলাল মন্ডল আমাকে বিয়ের কথা বলে দীর্ঘ দুই বছর ধর্ষণ করেছে।আমি তার স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই এবংএই সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই। পূর্বেও আমাকে কিশোরগঞ্জ নিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করেছে সে ডকুমেন্টস কাবিননামা কাগজপত্র সবকিছু দুলাল মন্ডল এর কাছে রয়েছে। ফাতেমা এটাও বলেন দুলাল মন্ডল আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা,আমি বাঁচতে চাই আমাকে বাঁচতে দিন।