প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

পাবনা-৩ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ফরিদপুর পৌর মেয়র খ, ম কামরুজ্জামান মাজেদ সংবাদ সম্মেলন

মেহেদী হাসান, ফরিদপুর, পাবনা প্রতিনিধি।

পাবনা-৩ (ফরিদপুর, ভাজ্ঞুড়া, চাটমোহর) আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান ফরিদপুর পৌর মেয়র খ, ম কামরুজ্জামান মাজেদ। ২২শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১১ ঘটিকার সময় ফরিদপুর পৌরসভা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য খ,ম কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, আমি বিভিন্ন সময় দুর্যোগ – মহামারিতে আমার সাধ্যমতো জনগণের পাশে ছিলাম।
এখনো আমি প্রতিনিয়ত (ফরিদপুর, ভাজ্ঞুড়া, চাটমোহর) জনগণের পাশে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি।
করোনার মতো মহামারি সময় আমি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে জনগণের মাঝে খাদ্য সহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে গেছি। এছাড়াও তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম সাংবাদিকদের মাঝে তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের সকল কিছু সাংবাদিকদের মাঝে তুলে ধরেন, তিনি ১৯৬৮ সাল হতে রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন এবং তিনি ঐ সময় ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) গ্রুপের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে গনঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানি পুলিশ দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৭০ সালে সক্রিয় ভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন এবং ১৯৭১ সালে সক্রিয় ভাবে মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) গ্রুপের ফরিদপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে (বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি মোজাফফর) গ্রুপের ফরিদপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বাঙালি জাতির সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের হত্যা কান্ডের পর আত্ম গোপনে চলে যায় এবং আত্ম গোপন থাকা অবস্থাই ১৯৭৬ সালে জানুয়ারীতে গ্রেফতার হয়ে প্রচন্ড পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৭৭ সালে স্বরৈ সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের হ্যা- না ভোটের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে নির্বাচনের দিনে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৭৮ সালে পাবনা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী এম, এ,জি ওসমানী সাহেবের পক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন এবং পাবনা জেলা ( ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি মোজাফফর) সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে গ্রেফতার হন এবং অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৮৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে এম এস এস ডিগ্রি অর্জনের জন্য বুলগেরিয়া গমন করেন।
১৯৮৯ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যোগদানের পর থেকে ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি হিসাবে এবং জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ পতন আন্দোলনে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হন।
১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জননেতা ওয়াজিউদ্দিন খান সাহেবের পক্ষে ০৩ (তিন) টি উপজেলায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বি এন পি জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়াজিউদ্দিন খান সাহেবকে নির্বাচিত হাওয়ার ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সাহেবের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের মহা সমাবেশে যোগদানের সময় ঢাকা বারডেম হাসপাতালের সামনে বিএনপি জামাত জোট সরকারের গুন্ডা বাহিনী দ্বারা আক্রমণ শিকার হন এবং ঐ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ২০০৬ সালে ওয়াম ইলেভেনের পর মঈনুদ্দিন, ফখরুদ্দিন ক্ষমতায় আসার পর নেত্রী গ্রেফতার হাওয়ায় তার মুক্তির দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলেন।
২০০৮ সালে ২ই ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সাহেবের পক্ষে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। ২০১১ সাল হতে পর পর তিন বার আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা মার্কা নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দক্ষতা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন নির্বাচনে ও দলীয় কার্যক্রম সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি মো : আব্দুল হালিম, ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এম মামুনুর রশীদ রুমন সহ প্রিন্ট মিডিয়া ও সাংবাদিক বৃন্দ।
ঐ সময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর পৌরসভাকে ৩য় শ্রেণি থেকে ১ম শ্রেণিতে রুপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি। ফরিদপুর পৌরসভার ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ রাস্তা উন্নয়ন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,যদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পায় তাহলে ফরিদপুর, ভাজ্ঞুড়া, চাটমোহর তথা পাবনা- ৩ আসনের যোগাযোগ, শিক্ষা,চিকিৎসা সহ দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেখানো পথে উন্নয়ন মুলক কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, যদি দলীয় মনোনয়ন না পায়, তাহলে যেই দলের দলীয় মনোনয়ন পাবে তার সাথে আমি কাধে কাধ রেখে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা কাজ করবো।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন