নাচোলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উত্তোলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নে,কামার জগদঈলে,২০২৩ – ২৪ অর্থবছরে খরিফ২/২০২৩-২৪ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজে উত্তোলন করা হয়। গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ উত্তোলনের উদ্বোধন করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি উপ-পরিচালক ডঃপলাশ সরকার। বুধবার(৬ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নেজামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরে মোঃ জসিম উদ্দিনের কলাবাগান, শষা ক্ষেত পরিদর্শন ও কামার জগদঈলে, মোঃমনোয়ারুল আজম এর গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ উত্তোলনের উদ্বোধন করেন। এর পর ম্যাংগো রফিকের, মালটা বাগান পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার সালেহ্ আকরাম,কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রায়হানুল ইসলাম,উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আমিনুল ইসলাম ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রাকিবুল ইসলাম। এ সময় পিঁয়াজ চাষিরা বলেন, তার ৫০শতাংশ জমিতে কাটিমন আম বাগানে ১০০মণ পিঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে বলে জানান। চাষীরা আরো বলেন,নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ রোপন করে এ বছর লাভবান হয়েছি। নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। উপ-পরিচালক ডঃ পলাশ সরকার জানান, দেশে পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি এবং আমদানি নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে নাসিক এন – ৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। আগামীতে চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন তিনি। এ পেঁয়াজের চারা রোপনের তিন মাসের মধ্যে পেঁয়াজ বাজারজাত করা যায়। এছাড়া প্রতি বিঘায় ১২০ থেকে ১৩০ মন পিঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম জানান, নাসিক এন -৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবে। উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে দুই দফায় ৩০০ জন করে ৬০০ জন কৃষকের মাঝে চলতি অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে পেঁয়াজ চাষের উপকরণ হিসেবে বিঘা প্রতি ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি এমওপি ২০ কেজি ডিএফপি এবং বীজতলা তৈরিতে পলিথিন, বালাইনাশক, নাইলনরশি সহ সব উপকরণ দেওয়া হয়েছে।