মানবিক পুলিশ অফিসার পাটগ্রাম থানার (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ । সময়ে -অসময়ে নানান আলোচনা ও সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশিরভাগ আলোচিত হয়। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই, আমরা তা স্বীকার করতে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো ফেরদৌস ওয়াহিদ এর মতো মানবিক পুলিশ অফিসার। তিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্ট ভাষী পুলিশ অফিসার। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগন ও দেশের কল্যাণে। পুলিশ জনগণের বন্ধু” এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি পাটগ্রাম থানায় দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন দেশের কল্যাণে।“পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাঁর প্রতিটি কর্মে। (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, নিষ্ঠাবান ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার।পাটগ্রাম থানার অধিকাংশ মানুষই তাকে গরীবের বন্ধু ভাবে। তিনি তার সততা ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা এবং মেধা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদকনির্মূল , সন্ত্রাসদমন, চাঁদাবাজীমুক্ত, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও জমি দখল বাজদের হাত থেকে এলাকায় কঠোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করছেন। তার চোখে ধনী-গরীব, জেলে, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণীপেশার মানুষ সমান। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনছেন। তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন একজন পুলিশ অফিসার। “মামলা নয়, আপোষ হলে ভালো হয়”-এই স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর থানায় অধিকাংশ অভিযোগ বাদী-বিবাদীর মধ্যে আপোষের মাধ্যমে সমাধান করে দেন। ফলে তিনি পাটগ্রাম থানায় যোগদানের পর থেকে থানায় মামলা বহুলাংশে কমে গেছে। তার মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ এর মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করবে বলে এলাকাবাসী মনে করে। তার ছুটে চলা সর্বত্র। কখনও তিনি লাঠি হাতে সড়কে, কখনো অসহায় এতিম শিশুদের পাশে, কখনও গরিব অসহায় হতদরিদ্রদের পাশে থেকে নিজের সামর্থ্য মত সাহায্য করা। এসবের একটাই লক্ষ্য- মানুষের সেবা ও আস্থা অর্জন। একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন ।একইভাবে ফেরদৌস ওয়াহিদ তাঁর অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন। শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের। ভালোবাসায় মুগ্ধ হন সাধারণ মানুষও। থানায় আসা একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে চুরি-ডাকাতি কমে যাওয়ায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। তিনি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে। অন্যদিকে পাটগ্রাম থানায় যোগদান করার পর ব্যতিক্রম বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেন।পাটগ্রাম থানা এলাকায় ছাত্র, তরুণ এবং যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন, বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের আয়োজন করেন। পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি পাটগ্রাম উপজেলাবাসীর জন্য কাজ করব। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন লালমনিরহাট জেলার পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্যারের দিকনির্দেশনায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিজ কর্মস্থলে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধী কে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো করার সুযোগ দেয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।