প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

জমি সংক্রান্ত বিরোধ কোন ভাবেই থামছে না

নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ কোন ভাবেই থামছে না একই গ্রামের শবকুল মালিথার ছেলে মেহেরুল ইসলামের,ঘটছে একের পর এক অঘটন।
আদালত ১৪৪/১৪৫ ধারায় আদেশ জারি ও কয়েকদিন আগে তাঁর জমির ধান প্রতিপক্ষরা বিষ দিয়ে নষ্ট করেছে এবং সেই নষ্ট হওয়া ধানের খড় প্রতিপক্ষ দ্বয়ের রসুন ক্ষেতে বিছিয়ে দিয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠলে বৃহস্পতিবার(২৩শে নভেম্বর-২৩)বিকেলে সরজমিনে গেলে মেহেরল ইসলাম সংবাদ কর্মীদের সেই বিনষ্ট ধান ক্ষেত দেখিয়ে বলেন,আমি ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক।জমিটি কেনার পর থেকেই একই গ্রামের মৃত ইমারতের ছেলে জিয়া(৪০)ও মিরাজ আলী(৫০),কমর আলীর ছেলে জেকের(৫০),পিয়ার মালিথার ছেলে ছাবেরুল ইসলাম(৩০),মৃত এলাহী মালিথার ছেলে রান্টু আলী এবং মৃত আবু মালিথার ছেলে মামুন আলী(২৮) সহ আরো কয়েকজন আমার সাথে বিরোধ করে আসছে এবং সেই সাথে জমিটি তাদের বলে দাবী করে আমি জমিতে যে ফসলই উৎপাদনের চেষ্টা করি সেই ফসলই নষ্ট বিনিষ্ট করে।
তিনি আরও বলেন এই প্রতিপক্ষরা আমার হকস্ত দখলীয় ক্রয়কৃত জয়কৃষ্ণপুর মৌজায় অবস্থিত ৩৯ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার উদ্দেশ্য গত ৯ এপ্রিল-২৩ আনুমানিক দুপুর ১ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের ভারাটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দলবদ্ধ ভাবে আমার উক্ত দখলীয় সম্পত্তিতে জোর পূর্বক প্রবেশ করে আমার জমিতে রোপনকৃত পাট ফসল নষ্ট করতে থাকলে আমার স্ত্রী রেহেনা(৩২)ও আমার মা আছিয়া বেগম(৬০)তাদের মানা নিষেধ করতে গেলে বিবাদী মিরাজ আমার মায়ের ডান হাতে ড্রেগার দিয়ে ছুড়ে মারে এবং জিয়া আমার স্ত্রীর চুল ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য পরনে থাকা পোষাক ছিড়ে ফেলে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে।পরে তাদের উদ্ধার করতে আমার চাচী এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।পরে আমি খবর পেয়ে উক্ত জমিতে প্রবেশ করলে তারা আমার থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল।পরে আমি কোন উপায় না দেখে অবশেষে নিরুপায় হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করলে লালপুর থানার পুলিশ এসে আমাদের রক্ষা করেন।এর পর থেকে আদ্যবদি একের পর এক অঘটন ঘটতেই আছে।এ সকল বিষয় নিয়ে থানায় অভিযোগ,আদালতে মামলা,এসপি ও সার্কেল এসপি অফিসে পর্যন্ত গিয়েছি,তাদেরকে জানিয়েছি তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মাত্র কিন্তু কোন সুফল পাইনি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষরা কোন কথা বলতে চাইনি।
এ বিষয়ে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি উজ্জ্বল হোসেন বলেন,মেহেরুলের জমি সংক্রান্ত বিষয়টি দীর্ঘ দিনের এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন