প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫ ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

নওগাঁয় কাসাভা কন্দল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী মাঠ দিবস পালিত

নওগাঁয় কাসাভা কন্দল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী মাঠ দিবস পালিত । নওগার পত্নীতলায় কাসাভা কন্দল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ দিবস পালিত হয়েছে ।এ নামটি হয়তো বাংলাদেশে অনেকের কাছে সুপরিচিত নয়। আবার দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে এর যৎ সামান্য পরিচিতি রয়েছে। বাংলা ভাষায় একে অনেকে বড় শিমলা আলু বলে থাকেন। এর পাতা দেখতে শিমুল তুলা গাছের মত তাই হয়তো এধরনের নাম দেয়া হয়ছে। এটি একটি বছরব্যাপী ফসল। গাছের উচ্চতা ৬/৭ফুট হয়ে থাকে। সাধারণত আফ্রিকা মহাদেশে এর বেশি চাষ হয়ে থাকে। এর মুল খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি গাছ হতে ৫-১০কেজি মুল পাওয়া যায়। চাল ও গমের মত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের বিকল্প উৎস হিসেবে এটিবিশ্বের অনেক দেশে বেশ জনপ্রিয়এটি থেকে যে কার্বোহাইড্রেট বা আটা করা হয় তা ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য ভালো। এটি সবজিতে আলুর মত এবং কাঁচা অবস্থায় সালাদ আকারে খাওয়া যায়। তবে গোটা বিশ্বে এটি শুকিয়ে আটা তৈরি করে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় । এর আটা হতে চাল বা গমের আটার মতোই রুটি পিঠা পায়েশ হালুয়া ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার রান্না করা যায়। বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু এটি চাষ উপযোগী। বাড়ির পতিত জায়গা সহ যেকোনো উচুঁ বা মাঝারি উচুঁ জমিতে এটি চাষ করা যায়। সাধারণ এর গাছের কাটিং টুকরা আখের মতো করে লাগালেই এটি কুশি দেয়। এর পুষ্টি গুন চাল ও গমের চেয়ে অনেক বেশী। যেসকল কৃষক ভাই এই কাসাভা বা শিমলা আলু চাষ করতে ইচ্ছুক তারা উপজেলা কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করতে পারেন। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি অফিস এই ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে আসছে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন