রংপুর মহানগর ১৭নং ওয়ার্ডের পীরজাবাদ নামক গ্রামে ভূমিদস্যুর কবলে রিপন ও তার পরিবার ।ভূমি দস্যুর কবলে পড়ে দুই পরিবার হুমকির মুখে। সম্প্রতি সরকারি নীতিমালা আইন অনুযায়ী অন্যের জমি অবৈধভাবে দখল করলে ৭ বছরের জেলের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ পাশ হলেও আইনটিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জাল কাজগপত্র তৈরি করে জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রংপুর মহানগর ১৭নং ওয়ার্ডের পীরজাবাদ নামক গ্রামে রিপন মিয়া ও রফিকুল ইসলামের সম্পত্তির উপর ঘটনাটি ঘটে। ভূমি দস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীরা তাদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দিনাতিপাত করছে।জমির মূল কাগজপত্র ভুক্তভোগীর নামে থাকা সত্বেও ভূমিদস্যুরা জাল কাগজ বানিয়ে জমির প্রকৃত মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন, মামলা নং-অন্য-১০৭০/২১। ভুক্তভোগীরা বর্তমানে বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভূমিদস্যুর মূলহোতা পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ভূমি অফিসের পিয়ন মনোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা-মোকছেদ আলী(৭০), আনারুল ইসলাম (৩৫), তারা জোরপূর্বক ভুক্তভোগী রিপন মিয়ার ও রফিকুল ইসলামের কাছে থেকে জমির দাবি করে জজকোর্টে মামলা করেন এবং মামলায় ভূমিদস্যুরা হেরে গিয়ে ভুক্তভোগীর বাসার নির্মাণ কাজে বাধা দেয়া এবং বিভিন্নভাবে রাজমিস্ত্রীসহ অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি দেয়, তারা যেন কাজ ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা অনেক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায়, ভূমিদস্যুরা তাদেরকে ক্ষমতা ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে নাজেহাল করছে। এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রিপন মিয়া ও রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এই জমিতে বসবাস করে আসছে এবং আরও জানা যায় ভুক্তভোগী রিপন মিয়া ও রফিকুল ইসলামের পূর্ব পুরুষ বাবা ও দাদারা এই জমিতে বাড়ি-ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন।কিন্তু জমির মূল মালিক মারা যাওয়ার পর থেকে ভূমিদস্যুরা জাল কাগজপত্র তৈরি করে ভুক্তভোগী রিপন মিয়া ও রফিকুল ইসলামকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকী দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের ঘরবাড়ি ছাড়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আপনার মতামত লিখুন :