ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

আমি অত্যাচারিতের

এস এম আলমগীর চাঁদ প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

আমি অত্যাচারিতের এস এম আলমগীর চাঁদ শোকার্ত যখন ফ্রান্সের সাথে পুরো সভ্যসমাজ, পতাকায় শোভিত চারপাশ। ঠিক তখন নিজের শার্টকে ফিলিস্তিনের পতাকা বানিয়ে প্যারিসের যে কিশোরটি তার গায়ে জড়ায়। সেই কিশোরের শার্টই হলো মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ পতাকা। মুসলিম খুনের লাল রক্ত যখন নাফনদী প্রবাহিত হয়ে টেকনাফে আঁচড়ে পড়ে, মৃত্যু ভয়ে ভীতবিহ্বল মানুষগুলো শুধু মুসলিম হওয়ার অপরাধে খুণ হয়। ঠিক তখন যে বৌদ্ধ ভিক্ষু নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে নিজের গেরুয়া কাপড়ে আচ্ছাদিত করে প্রাণ বাঁচায় – সেই ভিক্ষুর গেরুয়া বসনই হলো-মনুষ্যজ্যোতির পরমোকৃষ্ট উড্ডীয়মান নিশান। জঙ্গী তালিবানদের বোমা থেকে বাঁচাতে যে কিশোর ছেলেটি – নিজের জীবনকে বোমারুদের কাছে সঁপে দিয়ে – পুরো একটি বিদ্যালয়ের চারশত ছাত্রছাত্রীর জীবন বাঁচায়। পুত্রশোকে কাতর মা বলেন-একমাত্র ছেলে মরে গেছে। তারপরও আমি খুশি। কারণ-আমি এক মা কাঁদছি-আর আমার ছেলের আত্মত্যাগে হাসছেন চারশত মা। সেই নাম না জানা আফগানি ছেলেটিই মনুষ্যত্বের সর্বোৎকৃষ্ট বিবেক। লাইলাতুল কদরের রাত্রে ইবাদতগৃহে যখন বিশ্বাসী মানুষগুলোর আনাগোনা বাড়ে। রাত নিশীথে বাড়তে থাকে এই সুদূর পশ্চিমে মানুষের স্রোত। ঠিক তখন বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চার্চের যে পাদ্রি, ইবাদতের সুবিধার জন্য নিজে এসে চার্চের ফটক খুলে দেন – সেই পাদ্রিই হলেন- ধর্মীয় সহিষ্নুতার সবচেয়ে বরিষ্ঠ প্রতীক। সংখ্যালঘুরা যখন ধর্ষিতা হয়, ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে, হয়ে যায় ফেরার। হারিয়ে যেতে থাকে যুগযুগ ধরে তাদের অধিকার। সব স্ম্বতিগুলো ভাসিয়ে দিয়ে হয়ে পড়ে দেশহীন, পরিচয়হীন। সেই সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে যে মসজিদের ইমাম জুমাবারে মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে- বজ্রকন্ঠে খুৎবা দেন- সেই ইমামই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইমাম। কাশ্মীরের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কাতরাতে থাকা যে মুসলিম শুিশুটি- রক্তাক্ত হয়ে পড়ে থাকে, আর ভারতীয় সৈন্যের রাইফেলের টার্গেট থেকে বাঁচতে পালাতে থাকে মানুষ। ঠিক সে সময় যে শিখ গুরু মাটিতে বসে নিজের মাথার উষ্ণীষ দিয়ে সেই শিশুর রক্তাক্ত হাতটি বেঁধে কোলে নিয়ে বসে থাকেন- সেই উষ্ণীষই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম ব্যাণ্ডেজ। মুমুর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে যে ছেলেটি রক্তদিতে হাসপাতালের বেডে অবলীলায় শুয়ে যায়- একবারও প্রশ্ন করেনা- এই রোগিটি কি হিন্দু, বৌদ্ধ , খ্রীষ্টান, আস্তিক,নাস্তিক , নাকি মসুলমান? তার মনে শুধু কাজ করে-আমার রক্তেই বেঁচে ওঠুক একটি জীবন। জীবন বাঁচানো সেই ছেলেটির রক্তই সবচেয়ে পবিত্রতম নিদান। ফ্রান্সের জন্য হৃদয় পুড়ুক, লেবাননের জন্য কান্না ঝরুক, সিরিয়ার জন্য দুঃখ হোক, ইরাকের জন্য শোক হোক। আফগানের জন্য হাহাকার উঠুক,ফিলিস্তিনের জন্য বিশ্ব কাঁদুক। নির্যাতিত, নিপীড়িত, বন্চিত, শোষিত , অবহেলিত, নিষ্পেশিত- প্রতিটি মানুষের অশ্রুই হোক এ পতাকার জমিন। প্রতিটি মানুষের খুণের লাল রঙই হোক এ পতাকার রঙ। হৃদয়ের জমিনে হোক শ্বেতপায়রার পালক দিয়ে মানবমুক্তি আঁকা- তখন হৃদয়টাই হবে মানবতার রঙ্গে রাঙ্গানো এক বিশুদ্ধতম পতাকা। ্কার্ত যখন ফ্রান্সের সাথে পুরো সভ্যসমাজ, পতাকায় শোভিত চারপাশ। ঠিক তখন নিজের শার্টকে ফিলিস্তিনের পতাকা বানিয়ে প্যারিসের যে কিশোরটি তার গায়ে জড়ায়। সেই কিশোরের শার্টই হলো মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ পতাকা। মুসলিম খুনের লাল রক্ত যখন নাফনদী প্রবাহিত হয়ে টেকনাফে আঁচড়ে পড়ে, মৃত্যু ভয়ে ভীতবিহ্বল মানুষগুলো শুধু মুসলিম হওয়ার অপরাধে খুণ হয়। ঠিক তখন যে বৌদ্ধ ভিক্ষু নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে নিজের গেরুয়া কাপড়ে আচ্ছাদিত করে প্রাণ বাঁচায় – সেই ভিক্ষুর গেরুয়া বসনই হলো-মনুষ্যজ্যোতির পরমোকৃষ্ট উড্ডীয়মান নিশান। জঙ্গী তালিবানদের বোমা থেকে বাঁচাতে যে কিশোর ছেলেটি – নিজের জীবনকে বোমারুদের কাছে সঁপে দিয়ে – পুরো একটি বিদ্যালয়ের চারশত ছাত্রছাত্রীর জীবন বাঁচায়। পুত্রশোকে কাতর মা বলেন-একমাত্র ছেলে মরে গেছে। তারপরও আমি খুশি। কারণ-আমি এক মা কাঁদছি-আর আমার ছেলের আত্মত্যাগে হাসছেন চারশত মা। সেই নাম না জানা আফগানি ছেলেটিই মনুষ্যত্বের সর্বোৎকৃষ্ট বিবেক। লাইলাতুল কদরের রাত্রে ইবাদতগৃহে যখন বিশ্বাসী মানুষগুলোর আনাগোনা বাড়ে। রাত নিশীথে বাড়তে থাকে এই সুদূর পশ্চিমে মানুষের স্রোত। ঠিক তখন বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চার্চের যে পাদ্রি, ইবাদতের সুবিধার জন্য নিজে এসে চার্চের ফটক খুলে দেন – সেই পাদ্রিই হলেন- ধর্মীয় সহিষ্নুতার সবচেয়ে বরিষ্ঠ প্রতীক। সংখ্যালঘুরা যখন ধর্ষিতা হয়, ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে, হয়ে যায় ফেরার। হারিয়ে যেতে থাকে যুগযুগ ধরে তাদের অধিকার। সব স্ম্বতিগুলো ভাসিয়ে দিয়ে হয়ে পড়ে দেশহীন, পরিচয়হীন। সেই সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে যে মসজিদের ইমাম জুমাবারে মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে- বজ্রকন্ঠে খুৎবা দেন- সেই ইমামই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইমাম। কাশ্মীরের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কাতরাতে থাকা যে মুসলিম শুিশুটি- রক্তাক্ত হয়ে পড়ে থাকে, আর ভারতীয় সৈন্যের রাইফেলের টার্গেট থেকে বাঁচতে পালাতে থাকে মানুষ। ঠিক সে সময় যে শিখ গুরু মাটিতে বসে নিজের মাথার উষ্ণীষ দিয়ে সেই শিশুর রক্তাক্ত হাতটি বেঁধে কোলে নিয়ে বসে থাকেন- সেই উষ্ণীষই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম ব্যাণ্ডেজ। মুমুর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে যে ছেলেটি রক্তদিতে হাসপাতালের বেডে অবলীলায় শুয়ে যায়- একবারও প্রশ্ন করেনা- এই রোগিটি কি হিন্দু, বৌদ্ধ , খ্রীষ্টান, আস্তিক,নাস্তিক , নাকি মসুলমান? তার মনে শুধু কাজ করে-আমার রক্তেই বেঁচে ওঠুক একটি জীবন। জীবন বাঁচানো সেই ছেলেটির রক্তই সবচেয়ে পবিত্রতম নিদান। ফ্রান্সের জন্য হৃদয় পুড়ুক, লেবাননের জন্য কান্না ঝরুক, সিরিয়ার জন্য দুঃখ হোক, ইরাকের জন্য শোক হোক। আফগানের জন্য হাহাকার উঠুক,ফিলিস্তিনের জন্য বিশ্ব কাঁদুক। নির্যাতিত, নিপীড়িত, বন্চিত, শোষিত , অবহেলিত, নিষ্পেশিত- প্রতিটি মানুষের অশ্রুই হোক এ পতাকার জমিন। প্রতিটি মানুষের খুণের লাল রঙই হোক এ পতাকার রঙ। হৃদয়ের জমিনে হোক শ্বেতপায়রার পালক দিয়ে মানবমুক্তি আঁকা- তখন হৃদয়টাই হবে মানবতার রঙ্গে রাঙ্গানো এক বিশুদ্ধতম পতাকা।