ঢাকা মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫
ভূরুঙ্গামারীতে সুদখোর দুর্নীতিবাজ শাকিল মোল্লার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন ও থানায় অভিযোগ । কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সুদখোর ও দুর্নীতিবাজ শাকিল মোল্লার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। সুদ একটি সামাজিক ব্যাধি, এই ব্যাধির কারণে ধ্বংস হয়ে যায় অনেক অসহায় পরিবার সুদের হার গুনতে গুনতে নিঃস্ব হয়ে যায় মানুষ। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১০ নং বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মাহিগঞ্জ নামক গ্রামে। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আমার ছোট ছেলে রনি মিয়া তার বাবার সাথে সোনাহাট বাজারে কাঁচামালের দোকান করত, তার বাবা মারা যাওয়ার পর সে কিছুদিন দোকান চালিয়ে যায়। দোকানের কাস্টমার হিসেবে পরিচিত সুদখোর শাকিল মোল্লার সাথে আমার অগোচরে রনি টাকার লেনদেন করত। হঠাৎ একদিন আমার ছেলে বাড়ি থেকে না বলে চলে যায়, পরে জানতে পারি সুদখোর শাকিল মোল্লার কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা(৩০,০০০) লভ্যাংশে টাকা ধার নেয়। টাকা দিতে না পারলে শাকিল মোল্লা টাকার জন্য চাপ দেয় সে কিছু না বুঝেই বাড়ি থেকে চলে যায় পরে শাকিল আমাদের বাড়ি আসে এবং উক্ত টাকার কথা আমাদের জানায়। আমরা পারিবারিকভাবে বসে শাকিলকে তার আসল ত্রিশ হাজার টাকা সহ কিছু লাভ দিয়ে দেই তারপর শাকিল চলে যায়, আমার ছেলে রনি কয়েক মাস আগে কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় যায় সেখানে শাকিল মোল্লা ফোনে যোগাযোগ করে তার কাছে ঢাকায় গিয়ে ঘরে আটকে স্থানীয় লোকজন সহ স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং হুমকি প্রদান করে ওর কাছে আড়াই লক্ষ টাকা (২,৫০,০০০ )পাই। তুই টাকা সুদ না করলে তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ অক্টোবর শাকিল আমার ছেলের নামে আড়াই লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে এটি উকিল নোটিশ পাঠায় এ বিষয়ে আমরা পূর্বে কিছুই জানি না। ভুক্তভোগী রনি মিয়া জানায় ব্যবসার খাতীরে আমি তাকে মামা বলে ডাকতাম, আমার নিকট বাজার খরচ খাইতো। দোকানে মাল কম থাকায় শাকিল মোল্লা প্রায় আমাকে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাল করার কথা বলতো আমি তার কথাই রাজি হয়ে মাসিক ৩০০০ টাকা সুদে তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেই। টাকা নেওয়ার পর থেকে শাকিল আমার দোকান থেকে নিয়মিত খরচ খাইতো এবং হিসাব বাকি খাতায় লিখে রাখতে বলত ,আমি তাই লিখে রাখি। তিন মাস যাওয়ার পর শাকিল আমাকে সুদে আসলে টাকার জন্য চাপ দেয় আমি খরচের হিসাব করে তাহার সুদের টাকা কেটে দিয়ে বাড়িতে কথা বলে তাকে ৩০০০০ টাকা আসল ও কিছু টাকা লাভ দিয়ে তার কাছে মাফ চাই। দীর্ঘ কয়েক বছর পার হয়ে গেলে সে কৌশলে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলে টাকা চাওয়ার কথা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ঢাকায় গিয়ে ঘরে আটকে রেখে ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয় এবং মারধর করে। তার চাহিদা মত টাকা না দিলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। উপরোক্ত বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মহোদয়ের নিকট জানতে চাইলে, তিনি জানান ওই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
আপনার মতামত লিখুন :