ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫
বীমা গ্রাহকের মৃত্যু, পৌনে ৫ লক্ষ টাকা মৃত্যু দাবি পরিশোধ করলেন আলফা ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্স। কুয়াশাছন্ন সকাল রাস্তার দুপাশে পাকা আমন ধান ক্ষেতের মৌ মৌ গন্ধ কিছুটা পথ এগোতেই দেখা মিলল ধান ক্ষেতের মাঝখানে গড়ে ওঠা আশ্রয় প্রকল্প। বসবাস করছেন দরিদ্র পরিবাররা। প্রকল্পে ঢুকতেই দেখা মিলল রেজাউল ইসলামের মা হারা ৫ বছরের সন্তানকে কোলে দাড়িয়ে আছে আঙিনায় চোখে চোখ পড়তে মুহূর্তেই যেন ফুটে উঠলো হাসির ঝিলিক পরিবারের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার কথা ভেবে আলফা ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্সের নিকট একটি বীমা পলিসি করেছিলেন সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ আশ্রয় প্রকল্পের শারমিন বেগম। ১৫ বছর মেয়াদী এই বীমা পরিকল্পের মাসিক প্রিমিয়াম ছিল ২ হাজার’ ৮৫ টাকা। পলিসিপত্র পূরণের পর ৭ মাসের কিস্তিও পরিশোধ করেন শারমিন বেগম। এরপরই বিধাতার ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে পাড়ি জমান শারমিন বেগম। বন্ধ হয়ে যায় তার বীমা পলিসি। শারমিন বেগমের মৃত্যুর পর ওই পলিসির নমিনি তার স্বামী রেজাউল ইসলাম মৃত্যুদাবি উত্থাপন করেন আলফা ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্সে। বীমা কোম্পানিটি জানিয়েছে, ১৪ হাজার টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে শারমিন বেগমের মৃত্যু হলেও তার বীমা দাবি দাঁড়ায় ৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৭৫ টাকা, এরপর বীমা দলিল ও সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা নেয়ার পর কোম্পানিটি এই বীমা দাবি পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয়। এ উপলক্ষ্যে ৮ নভেম্বর রোজ বুধবার গ্রাহকের গ্রামের বাড়ি কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ আশ্রয় প্রকল্পে মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত থেকে আলফা ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্স সৈয়দপুর শাখার এসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার এস এম ফিরোজ কবির, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সাকিব ইবনে রহমান, ইউনিট ম্যানেজার ওলিউল্লাহ রহমান, কামারপুকুর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মোছাঃ মোসলেমা বেগম এবং সৈয়দপুর ইউনিট ম্যানেজার গন ও এফবৃন্দ বীমা গ্রাহক মরহুমা সারমিন বেগমের নমিনি রেজাউল ইসলামের নিকট ৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৭৫ টাকার মরনোত্তর বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় সাকিব ইবনে রহমান বলেন গ্রাহক সেবা প্রদান করে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন আজকে আমাদের সম্মানিত গ্রাহকের মৃত্যুদাবির চেক তার নমিনির হাতে পৌঁছাতে পেরে আমরা গর্বিত।
আপনার মতামত লিখুন :