মেঘনায় সরকারি হাসপাতাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুর চিকিৎসায় প্রয়োগ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ! কুমিল্লা জেলার মেঘনায় মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবায় প্রয়োগ করা হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ! এক ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর ১৬ মাসের শিশু মোঃ সোয়াদ’কে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে কর্ব্যরত চিকিৎসক ওষুধের পাশাপাশি নেবুলাইজার দেওয়ার সাজেষ্ট করেন প্রেসক্রিপশনে। সে মোতাবেক নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য জরুরি বিভাগে শিশুর মা শিশুটিকে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে থাকা ডাক্তার ইমরান হোসেন (এস এ সি এম ও) শিশু সোয়াদ সহ নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য ওয়ার্ড বয় জাকির হোসেন কে বললে, জাকির ০-৫ সিসি ইপ্রাট্রোপিয়াম ব্রোমাইড (ইপ্রাটপ) এর মাধ্যমে সোয়াদসহ আরো কয়েকজন ঠান্ডা জনিত রুগীকে নেবুলাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরের দিন ২৫ অক্টোবর টিকিট কেটে শিশু সোয়াদকে চিকিৎসকের ব্যবস্থা পত্র অনুযায়ী জরুরি বিভাগে নিলে একই ব্যক্তিরা সোয়াদ কে নেবুলাইজার প্রয়োগ করতে গেলে টেবিলে রাখা ওষুধের দিকে চোখ যায় সোয়াদের মায়ের। ওষুধের বোতলের মোড়কে লেখা মেয়াদে দেখে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ওষুধের মেয়াদ শেষ। তাৎক্ষনিক শিশুর চিকিৎসা না নিয়ে সঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ইমরান হোসেন (এস এ সি এম ও) এর নিকট সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ওষুধের মেয়াদ নেই মর্মে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোন বিষয়ে বক্তব্য দিতে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া দেওয়া নিষেধ। এ শিশু সোয়াদের মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাচ্চা বর্তমানে কিছুটা ভালো কিন্তু আমি ও আমার পরিবার শঙ্কিত। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা.সায়মা রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কর্তব্যরতদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :