ঢাকা সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫
মৌলভীবাজারে প্রতিটি চা বাগানে দামোদর ব্রত শুরু । বাংলা মাসের পহেলা কার্ত্তিক থেকে শুরু হয় পবিত্র দামোদর মাস পালন ও দীপদান উৎসব মৌলভীবাজার জেলায় বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে যথাযথ মর্যাদার সাথে এই পবিত্র দামোদর ব্রত ও দীপ দান উৎসব পালন করা হচ্ছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পরম মঙ্গলময় ভগবান দামোদর মাসকে অবহেলা করে না।পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সর্বাস্থাতেই সকলের করুণাময়, আর তাই তিনি কৃষ্ণভাবনাময় হওয়ার জন্যই এই দামোদর-মাস প্রদান করেছেন। ভগবানের প্রতি ভক্তিভাব বৃদ্ধির জন্য ভক্তি সহকারেই দামোদর মাস পালন করা হয়। ইতিমধ্যে মাসব্যাপী দামোদর দীপদান উৎসবের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ঐ অনুষ্ঠান সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই মঙ্গলজনক একটি উৎসব। প্রতি বছর দীর্ঘ ১ মাস ব্রত পালন করার পর সকল রাধা-মাধব মন্দিরসহ বিভিন্ন পুজা মন্ডপে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা সহকারে এ উৎসব উদযাপন করা হয়। উল্লেখ্য, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরেক নাম দামোদর। দাম শব্দের অর্থ রশি এবং দর হচ্ছে কোমর। মা যশোদা কর্তৃক যাঁর উদরে দাম বা রশি বন্ধন রয়েছে, তিনিই দামোদর। বিশ্বব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দূর্গাপুজার পরে পূর্ণিমা থেকে পরের পূর্ণিমা পর্যন্ত দামোদর মাস পালন করে থাকেন।দামোদর বা কার্ত্তিক ব্রত সম্বন্ধে স্কন্দ পুরাণে ব্রহ্মা নারদকে বলেছিলেন, দুর্লভ মনুষ্য জন্ম পেয়ে যে ব্যক্তি কার্ত্তিক ব্রত করে না, সে নিদান্ত অভাগা বলে পরিগণিত হয়। এই বৈষ্ণব ব্রত না করলে জপ তপস্যা বিফল হয়, সাত জন্মের অর্জিত পুণ্য বৃথা হয়ে যায়। সমস্ত তীর্থে স্নান ও সমস্ত বস্তু দানে যে ফল কার্ত্তিক ব্রতে তার থেকে বেশি পুণ্য লাভ হয়। কার্ত্তিক মাসে শ্রীহরির যা কিছু পুণ্য করা হয় তা অক্ষয় হয়ে থাকে। এই মাসে পাপ কর্মেরও ক্ষয় নেই। পদ্মপুরাণে নারদ মুনি শৌনক প্রমুখ মুনিদের বলেছিলেন, ভারতবর্ষে যে মানুষ শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় কার্ত্তিক মাস নিয়ম ছাড়া অতিবাহিত করে, সে হাতের কাছে চিন্তামণি পেয়ে কাদাজলে নিক্ষেপ করে। দেবতা, ঋষি ও পিতৃগণ কার্তিক মাসের সেবা করেন। তাই কার্ত্তিক ব্রত করলে অতি অল্পেও লোকের মহাফল লাভ হয়। রাতের শেষ প্রহরে হরি জাগরণ, স্তূতি ও গান, প্রাতঃস্নান, শ্রীহরির পূজা-অর্চনা, হরিনাম জপ, গীতা অধ্যয়ন, মন্দির প্রদক্ষি
আপনার মতামত লিখুন :