ঢাকা বুধবার ৯ই জুলাই, ২০২৫
রাজবাড়ী জেলা কৃতি সন্তান ফ্রিলান্সার এবং বিজনেস ডেভেলপার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ১৯ বছরের এক পর্দাশীল মেয়ে। রাজবাড়ী জেলা কৃতি সন্তান ফ্রিলান্সার এবং বিজনেস ডেভেলপার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ১৯ বছরের এক পর্দাশীল মেয়ে, ২০২০ সালে করোনার মধ্য ঘরে বসে থেকে মনে হচ্ছিল কিছু একটা করি। তারপর অনলাইন ঘাঁটাঘাঁটি করার পরে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবলাম। পরবর্তীতে আমার একজন চাচা যার নাম আসলাম পাটোয়ারী, আমি তার তার ইনস্টিটিউট থেকে ফ্রিল্যান্সিং টা শিখি এবং কাজ শুরু করি। কিন্তু কিছু শারীরিক সমস্যা থাকার কারণে আমি কাজটা কিছুদিন করার পরে আমি কাজটা বন্ধ করে দেই। কিছুদিন বিরতি নেওয়ার পরে আমি আবার কাজ শুরু করার চেষ্টা করি। তখন আমি একটা ইনস্টিটিউটে জয়েন হই এবং সেখানে কাজ শুরু করি,কিছুদিন কাজ করার পরে তারা তাদের সকল কার্যক্রম কোনো কারনে বন্ধ করে দেয়। তখন আমি খুবই হতাশ হয়ে যাই। এবং এই হতাশা থেকে আমি ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ারের লম্বা একটি বিরতি নেই। ভেবেই নিয়েছিলাম আমি কাজ করবো না আর কখনো। পুরো ২০২১ সাল কাজ থেকে দূরে ছিলাম। একটি সময় পরে আমার বাবা আমাকে অনেকবার বলে নতুন করে কাজটি শুরু করার জন্য। কিন্তু শুরুতে আমি খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছিলাম না বললাম বাবা আমাকে জোরপূর্বক ভাবে ইডেজেলে (edazzl.com and Eddazzl It) জয়েন করায়। তারপরও ঠিকভাবে আমি ক্লাস বা মিটিংয়ে এটেন্ড থাকতাম না। একদিন বাবা আমাকে অনেক বেশি কড়া কথা শোনায়। তারপর আমি মন দিয়ে একটা ক্লাস করি এবং ক্লাস করার পরে মনে হয়েছে যে না আমি এখানে কাজ শুরু করতে পারব। নতুন প্রজন্মের জন্য ইডেজেল আসলেই ভালো কিছু করছে। তারপর থেকে আমি এখানে কাজ শুরু করি। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমার একটা ভালো ইনকাম হচ্ছে। শুধু আমি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করছি এমনটা না, আমার কো-অর্ডিনেসনে দেশ-বিদেশ থেকে আরও ৫০ জন ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় হিউজ উদ্যোক্তা রয়েছে ফেসবুকে, যারা ফেসবুকে পেজ নিয়ে বিজনেস করছে, এদের মধ্যে কমপক্ষে হলেও দেড় লক্ষ এর উপরে পেজ হোল্ডার দৈনিক বুষ্ট করে থাকে, এদের মধ্যে আমরা যদি এক লক্ষ করে কাউন্ট করি তারপরও এই এক লক্ষ পেজ হোল্ডার বা উদ্যোক্তা যদি বুস্ট করে তাহলে একটা বুস্টে খরচ হয় 866 টাকা, তাহলে এটাকে যদি কাউন্টিং করা হয় তাহলে এমাউন্ট দাড়ায় ৮ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। মাসে কিন্তু সেটা দাড়ায় ২৫৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। এই বুস্টিং এর পেছনে আমাদের অনেক বড় একটা অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এই যে টাকাটা খরচ হচ্ছে এই সম্পূর্ণ টাকাটাই চলে যাচ্ছে ফেসবুকের কাছে। আমি যে প্রজেক্টে কাজ করছি এই প্রজেক্ট মূলত এটার উপর বেস করে কাজ করছে যে এই টাকাটা কিভাবে আমাদের দেশে রাখা যায়। এবং এই টাকার উপর বেস করে কিভাবে কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি করা যায় বা বেকারত্ব দূরীকরণ করা যায় এই বিষয়টা নিয়ে আমরা এখানে কাজ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :