ঢাকা সোমবার ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:– রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মিরপুরে অনুষ্ঠিত হলো মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের বর্ষপূর্তি উৎসব ও বিশেষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান।
মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলমযোদ্ধা ও সমাজসেবক, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক এবং দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক,বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মানবতার ফেরিওয়ালা খান সেলিম রহমানকে সাংবাদিকতা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে “বিশেষ সম্মাননা স্মারক” প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক, শিক্ষক, সমাজসেবক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বর্ণাঢ্য এই আয়োজনের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে সম্মাননা স্মারক প্রদান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “খান সেলিম রহমান একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও মানবিক ব্যক্তিত্ব। সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমাজের অবহেলিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানবসেবায় তাঁর অবদান অনুকরণীয় ও প্রশংসনীয়।”
তারা আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা পেশাকে মর্যাদার স্থানে রাখতে যেভাবে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা তরুণ সাংবাদিকদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।”
বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমানের কাছে যদি কখনো খবর আসে যে কোনো সাংবাদিক হামলা, মিথ্যা মামলা বা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তিনি তা নিরপেক্ষভাবে দেখেন। তিনি কখনো বিবেচনা করেন না যে সাংবাদিকটি কোন সংগঠন, পত্রিকা বা টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের সকল সাংবাদিক নেতা ও সদস্যদের নিয়ে একযোগে প্রতিবাদ জানান, নিউজ মানববন্ধন আয়োজন করেন এবং প্রয়োজন হলে নিজ অর্থায়নে সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা থেকে জামিন করিয়ে সাহায্য করেন।
খান সেলিম রহমান শুধু একজন সাংবাদিক নেতা বা সম্পাদক নন—তিনি একজন সমাজসেবক, একজন মানবতার ফেরিওয়ালা। দেশের যেকোনো দুর্যোগ বা সংকটে তিনি নিজ উদ্যোগে এবং নিজ অর্থায়নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।
২০২১ সালে বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালে বগুড়ায় হাজারো কর্মহীন মানুষের মাঝে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার খাদ্যসামগ্রী, শাড়ি, লুঙ্গি, ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
২০২২ সালে শীতকালে তিনি মিরপুর ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছিন্নমূল মানুষ ও পথশিশুদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানে তিনি ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে, শীতকালে মিরপুর ও আশেপাশের এলাকার অসহায় ছিন্নমূল মানুষ পথশিশুদের মাঝে কম্পন বিতরণ করেন, সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যাপরিস্থিতি হওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে কয়েক লক্ষ টাকার খাদ্যসামগ্রী নিজ হাতে বিতরণ করেন।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর পক্ষ থেকে ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকার ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
২০২৫ সালের শীতকালে তিনি মিরপুর ও আশেপাশের এলাকার অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে এক হাজার কম্বল বিতরণ করেন।
এছাড়া পবিত্র মাহে রমজানে তিনি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং ঝিনাইদহ জেলার এক নবীন শিল্পীকে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নতুন মোবাইল ফোন উপহার দেন।
এই সকল মানবিক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন সমাজের নিরব সহযোদ্ধা এবং অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল।
বিশেষ সম্মাননা প্রাপ্তির পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে খান সেলিম রহমান বলেন, “মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে এ সম্মাননা প্রাপ্তি আমার জন্য এক গভীর অনুপ্রেরণার মুহূর্ত। আমি এই সম্মাননাকে শুধু ব্যক্তিগত প্রাপ্তি হিসেবে দেখি না, বরং এটি তাঁদের প্রতি উৎসর্গ করছি—যারা সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকতা আমার নেশা ও পেশা—মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কলমের মাধ্যমে সত্য প্রকাশের এই লড়াই আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত চালিয়ে যেতে চাই।”
অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটা, সম্মাননা স্মারক বিতরণ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বর্ষপূর্তি উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
পুরো অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ও স্মরণীয় করে তুলতে সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।
তাঁদের নিষ্ঠা, সহযোগিতা এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি এক সফল ও অনুপ্রেরণামূলক আয়োজন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের এই আয়োজন শুধু একটি উৎসব নয়—এটি ছিল সাংবাদিকতা, মানবতা ও সমাজসেবার প্রতি অঙ্গীকারের এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে খান সেলিম রহমানের মতো মানবিক সাংবাদিক নেতাদের অবদান নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :