ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

মানুষের সমাজকর্ম ও তার জীবনকাল: শ ম দেলোয়ার জাহান

✒ দৈনিক কলম যোদ্ধাঃ প্রকাশিত: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

মোঃ শফিকুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মানুষ সামাজিক জীব বটে। তবে সম্প্রীতির যে বন্ধন আমরা মানুষ বজায় রাখি তা যে কোনো ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধন চায় না। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে গবেষণায় দেখা যায়, লোভ-লালসা, হিংসা-অহংকার, সকল কিছুই ধ্বংসের রাজ্যে। সমাজ তথা দেশ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা মানুষ একে অপরের ভালো দিক মূল্যায়ন করি না, সম্মান করি না। হিংসা, অহংকার করি। আসলে এগুলো সমাজে কুসংস্কার ডেকে আনে। এর পরিণতি হয় ধ্বংস এবং ভয়াবহ। সমাজে ভালো মন্দ দুটো দিক আছে। সমালোচনা, পর্যালোচনা চলছেই এবং চলবে। এর কোনো কমতি হবে না। কারণ, মুদ্রা দোষ। বাঙালি জাতি আমরা একে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায়। গুণকে খুঁজে বেড়াই না। কারণ, এর সমস্যা হচ্ছে একমাত্র হিংসা। হাদীস-কোরআন পড়েও অনেকে হিংসা অহংকার করে। সমাজে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি সবসময় লেগেই আছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে নিজে থেকেই। আমাদের উন্নত দেশগুলোর কথা চিন্তা-চেতনা, বিবেচনা করলে আমরা দেশপ্রেমিক হতে পারব তখন, যখন সমাজ থেকে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি উৎখাত হলে। মানুষের স্বপ্ন, আশা, ভরসা সবকিছুই নিজেদের মেন্টালিটির উপর নির্ভর করে। মানুষ আমরা নামে হয়েছি। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারি নাই। হারাম, হালাল বিবেচনা না করেই বাড়ী, গাড়ী করছি। পিছনে একটিবার তাঁকাই, আমরা যখন ভূমিষ্ঠ হয়ে পৃথিবীতে এসেছি তখন তো আমরা কিছুই বুঝিনি, কিভাবে পৃথিবীতে আসলাম? যখন বয়স দিনদিন বাড়তে থাকে তখন আমাদের মনে অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। এর কারণ কি? কারণ খুঁজতে হলে, জীবনের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিনোদন, কর্ম সবকিছুই আমরা চাই। ভালো পরিবেশ, পরিস্থিতি, সমাজপতি, সম্মানীয় ব্যক্তি হিসাবে সমাজে বাস করি। যেহেতু আমরা দুনিয়াতে ক্ষণস্থায়ী। আজ আছি, কাল নেই। এই ভবের দুনিয়াতে এতো ভোগ বিলাস জীবন কেন প্রয়োজন? পৃথিবী একদিন ধ্বংস হবে। বাড়ী, গাড়ী, দালান, কোঠা, কিছুই স্থায়ী বা চিরদিন থাকবে না। আমাদের জীবনও বেশিদিন বাঁচবে না। আমরা শুধু এই পৃথিবীতে ক্ষণিকের অতিথি নামমাত্র। ভালো কিছু কর্ম করলে সাথে ফলস্বরুপ যাবে। কৃতকর্মের জন্য আমরা মানুষ হিসাবে মনকে বুঝাতে পারব। ক্ষমতার দাপটে, রাজনীতির বেড়াজালে ক্ষণিকের জন্য নিজেকে আমরা গর্ব করি। এ গর্ব নিজেকে ক্ষণিকের গর্ব মনে করি। জীবন চলমান রাখা কতো কঠোর তা সাধনা না করলে বুঝা বড় দায়। সৎপথে জীবন চলমান হলেও সাময়িক কষ্ট হয়। তখন মনকে বুঝানো যায়।