ঢাকা শনিবার ৪ অক্টোবর, ২০২৫
মোঃ মুকুল হোসেন ঃ —
দীর্ঘ ৯ বছর পর কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শহরজুড়ে ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টারে সাজানো হয়েছে। কুমারখালী এম এন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিশাল মঞ্চ তৈরির হয়েছে। ইতোমধ্যে সভামঞ্চসহ সম্মেলন প্রস্তুতির অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার। বিএনপির নেতাকর্মীরা চাচ্ছেন এ সম্মেলনের মাধ্যমে ত্যাগী, মেধাবী ও ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্ব উঠে আসুক। এতে সংগঠন আরও সুশৃঙ্খল হবে। জনগণ যাদের ভালো করবে, তারাই নির্বাচিত হবে। সব নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে উপজেলা বিএনপি এখন অনেক সুসংগঠিত।
কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সভাপতি প্রার্থী, নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক বলেন, এত সব নৈরাজ্য বন্ধ হবে। আমার প্যানেলে সবাই খুবই সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি। তারা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠতে পারবেন।
কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, এই নির্বাচন হবে ন্যায়ের পক্ষে। আমার প্যানেল জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এবারকার বিএনপির কাউন্সিল অত্যন্ত গঠনমূলক এবং খুবই সুন্দরভাবে হবে বলে আশা করি। ভোটার তালিকা নিয়ে অনেক গুঞ্জন রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ২জন সভাপতি, ৩ জন সাধারন সম্পাদক ও ৪ জন সাংগঠনিক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়নে এই কাউন্সিল প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এবার ৭ শ’ ৮১ ভোটার তাদের ভোট প্রদান করবেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী খন্দকার মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, দীর্ঘদিন পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটার তালিকার ব্যাপারে কিছু পক্ষপাতীত্ব হয়েছে। যারা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শের বিশ্বাস করে। তারা আমাকে ভোট দিবে। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্টদের কারণে বিগত ১৭ বছর বিএনপি স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারেনি। প্রায় সব কমিটির মেয়াদই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ৫ আগস্টের পর সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জেলার সব কমিটির কাজ শেষ করেছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নেতাকর্মীরা এখন নির্বাচনমুখী। সবাই একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশায় রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :