ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ফুয়াদ। সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ দৈনিক কলম যোদ্ধা পত্রিকার সহ সম্পাদকের কার্যালয়ে অপহরণের ঘটনার আংশিক বর্ণনা করেছেন তিনি। ফুয়াদের পুরো নাম মো. ফুয়াদ ইসলাম। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি। তার ভাষ্যমতে গত ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ১০ টা হতে ১১ টার মাঝে ঢাকা রমনা পার্কের পাশের এক গলি থেকে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায় ফুয়াদকে। পরবর্তীতে ২১ আগস্ট ঘটনার সাত দিন পর চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক থেকে পুলিশ তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর ফুয়াদ এবং বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
ফুয়াদ জানান, নিঁখোজ হওয়ার পর ফুয়াদের ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে তার নিজ দল এবং দলের প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চলতে থাকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অজোপাড়া গাঁ হতে শহর কেন্দ্রিক রাজনীতি করা যুবককে অপহরণ করে এভাবে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলেছেন ফুয়াদ। অপহরণ হওয়ার পর সীতাকুণ্ড থানার তৎপরতায় ফুয়াদ উদ্ধার হলে, লোকাল একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয় বলে জানা গেছে।
ফুয়াদকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলার আহ্বান করা হলে তিনি দৈনিক কলম যোদ্ধাকে বলেন,
“আমি জানিনা আমার গুমের পিছে কাদের হাত রয়েছে। তবে এটা যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে হয়ে থাকে। তবে আমি বলব যারা আসলে আওয়ামী লীগের মতো গুম খুনের রাজনীতি করতে চায় তাদের পরিস্থিতিও আওয়ামী লীগের মতই হবে একদিন। আমি এই মুহূর্তে আর কারো সঙ্গে কোন ধরনের ঝামেলায় জড়াতে চাই না। সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটি মানুষকেই বিবেক দিয়েছে কেউ যদি তার বিবেকের বাইরে গিয়ে অন্যায় কাজ করে এবং আমার সাথে কোন ধরনের জুলুম করার চেষ্টা করে তবে সে সেটার ফল অবশ্যই পাবে।”
সাক্ষাৎকারে ফুয়াদ জানিয়েছে এ বিষয়ে কোনো মামলা দায়ের করা হয় নি। ঘটনার বর্ণনা জুড়ে ফুয়াদকে দুশ্চিন্তা গ্রস্থ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ভুক্তভোগী ফুয়াদ আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায়।
আপনার মতামত লিখুন :