কামরুন তানিয়া : আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে আপনারা ভালো ও সুস্থ আছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চারজন ইউপি সদস্য, একজন গ্রাম পুলিশ ও একজন দফাদার অনুপস্থিত রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত আপনারা নাগরিক সুবিধা থেকে কষ্ট পেয়েছিলেন এমনকি অনেকে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিতও ছিলেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহেদুল ইসলাম রোমান সাহেব দায়িত্ব নেওয়ার পর ওনার আহ্বানে রাজাপালং ইউনিয়নের মানুষের দুঃখ দূর্দশা লাঘব করতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আপনাদের সেবায় পরিশ্রম করেছি,অধ্যবধি পর্যন্ত করে যাচ্ছি। সকাল-সন্ধ্যা আপনাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। আপনাদের যে কোন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি তার বিনিময়ে কি কখনো কিছু চেয়েছি? প্রশ্ন রইলো আপনাদের কাছে। আমাদের সংগঠন বিএনপির পক্ষ থেকে ভোটার হালনাগাদের সময় আমি হেল্প ডেক্স-এর ব্যবস্থা করে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া রোধ করেছি। এছাড়া প্রায় ৩ হাজার সাধারণ মানুষ সেবা নিয়েছিলো সেই হেল্প ডেক্স থেকে। তার বিনিময়ে কি কখনো কিছু চেয়েছি? প্রশ্ন রইলো আপনাদের কাছে। প্রতি ওয়ার্ডে প্রতিটি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে দেখেছি কোথায় কি কাজ বাকি কোথায় কোন রাস্তার বেশি প্রয়োজন,কোথায় কার অনুদান প্রয়োজন।সাধ্যের মধ্যে থাকলে নিজের পকেট দিয়েছি যা আমার সাধ্যের বাইরে তা ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছি।এইটা কি আমার অপরাধ? চিহ্নিত আওয়ামী দোসরের ইউপি সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর সাহেদুল ইসলাম রুমান ভাই অনেক বেশি কাজের চাপে থাকেন। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জনসাধারণের তথ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে অজানা আছে রোমান ভাইয়ের । সে ক্ষেত্রে আমি সহ অনেক স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে জড়িত ব্যাক্তিবর্গের কাছ থেকে তিনি সাহযোগিতা নেন। ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কোথায় রাস্তা বা ব্রীজ, বা কোন প্রতিষ্টানে সাহায্য করা জরুরী সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতেও তিনি ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। ওনি যখন জনস্বার্থে আমাকে ডেকেছেন আমি সব কাজ রেখে ছুটে গিয়েছি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সহায়তা করতে।এইটা কি আমার অপরাধ? এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা নিরসনে ওনার ডাকে আমি সাড়া দেওয়া কি আমার অপরাধ? আমি এই প্রশ্নগুলো আপনাদের কাছে করলাম, কারণ অগ্রযাত্রা নামক একটি ভুইফোড় পত্রিকার সাংবাদিক আমাকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করেছে আমি কেন ইউনিয়ন পরিষদ যায়। উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও কি আমি আমার ব্যাক্তিগত নাগরিক সেবা নিতে যেতে পারিনা? তিনি আমার কাছে প্রশ্ন করেছেন আমি নাকি ভিজিএফ পেপারে স্বাক্ষর দিয়ে থাকি! আমি কি চেয়ারম্যান নাকি মেম্বার আমার সাক্ষর সরকার গ্রহন করবে? ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব জনবলের অভাবে আইডি কার্ড মিলিয়ে উপকারভোগী সঠিক কিনা তা যাচায়-বাছাই করতে অনেকবার আমাকে ডেকেছেন। সেখানে গিয়ে অতি বিশৃঙ্খলা থামাতে আমি সাধারন মানুষকে লাইন, সিরিয়াল করে দিয়েছি। তাছাড়া অনেক উপকার ভোগী কার্ড বিক্রি করে দেন ধান-চাল ব্যবসায়ীদের। এই ধরনের অবৈধ কার্ড যেখানে পেয়েছি তা জব্দ করে চেয়ারম্যানকে দিয়েছি, যাতে তিনি সঠিকভাবে তা সমাধান করতে পারেন ।ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে ও ভিতরে আজ পর্যন্ত আইনবহির্ভূত বিক্রি হওয়া ৭০০ টির বেশি কার্ড জব্দ করে চেয়ারম্যান মহোদয় ও সচিব মহোদয়ের হাতে জমা দিয়েছি। সাংঘাতিক মহাশয় যে ফুটেজ ভিডিও তে দিয়েছে তার বিবরন ১-তিনি বলেছেন এইটা চেয়ারম্যানের রুম ও চেয়ারম্যানের চেয়ার। উত্তর-এইটা চেয়ারম্যানের রুম না। চেয়ারম্যানের চেয়ার ও না। ছবিতে দেখানো রুমটি হলো তথ্য সেবা কেন্দ্র। ২-টমটমে নিয়ে যাওয়া যে চালের বস্তা দেখালো সেগুলো কি চাল ডাল নাকি তুলা। আমি টমটম চালাই না সাংঘাতিক মহাশয় যে কোন টমটমের ফোটেজ এনে এইখানে দিলেন। ৩-চালের ট্রাকের ফোটেজ দিলেন। উত্তর-ইউনিয়ন পরিষদে চালের গাড়ি বা চাল বিতরন না করে কি তোমার বাসায় বিতরন করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। আর অগ্রযাত্রা আমাকে বলেন আমি ভিজিএফ চাল চুরি করেছি। আমাকে মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলে জনগণের স্বার্থে কাজকর্ম থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে ভুয়া পোর্টাল অগ্রযাত্রা সহ একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল। আপনারা জানেন ইতিমধ্যে, আমার চাচা শাহ জাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য উপাত্তহীন উদ্দেশ্যপ্রনোদিত অপপ্রচার চালাতে গিয়ে সেই ভূয়া পেইজ আগ্রযাত্রা একটি ভূয়া অনলাইন পেইজে পরিনত হয়েছে। প্রতিটা সংবাদ ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি দল বিশাল অংকের টাকার বিনিময়ে ভূয়া নিউজ প্রচারের জন্য নিয়োগ করেছে অগ্রযাত্রাকে।তাছাড়া ঢাকা শহর খোঁজে তাদের একটা অফিস খোঁজে পেলাম না। আমার জনপ্রিয়তা, আপনাদের ভালবাসা ও সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করে যাওয়াটা অগ্রযাত্রা ও তাকে ফান্ডিং করা মানুষগুলোর এখন চক্ষুশূলে পরিনত হয়েছে। তারা চায় আমাকে আপনাদের কাছ থেকে দুরে রাখতে, তারা চায় আমি যেনো সাধারণ মানুষের পাশে না থাকি।তারা চায় আমি যেন আপনাদের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ না থাকি। তারা চায় আমার প্রাণপ্রিয় রাজাপালং ইউনিয়নের মানুষকে কষ্টে রাখতে। গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ, পুলিশ,র্যাব, আইনবিভাগ কেউ বিএনপি ও শাহ জাহান চৌধুরী পরিবারকে জনগণের কাছ থেকে দুরে সরাতে পারেনি, আর ভুয়া নিউজ ও প্রোপাগাণ্ডার সাংবাদিক মহাশয় আপনি কি পারবেন জনসাধারণের ভালোবাসা থেকে আমাদের দুরে রাখতে? পরিশেষে, ভুয়া ও ভুইফোড় পেইজ “অগ্রযাত্রা” এবং তাদের অর্থপ্রদানকারী ষড়যন্ত্রকারীদের বলতে চাই, আমি এবং আমার পরিবার মানব সেবার জন্য জন্মেছি।মিথ্যা প্রোওয়াগাণ্ডায় আমাকে দমাতে পারবেন না। আপনাদের ভুয়া সংবাদে আমরা ভয় পায় না। সত্যের জয় সবসময় হয়।আমি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিচার দিলাম উখিয়া বাসীকে।ইনশাআল্লাহ, রাজাপালং ইউনিয়নের মানুষ এবং উখিয়া উপজেলার মানুষ এই সমস্ত ভূয়া নিউজ।
আপনার মতামত লিখুন :