শাল্লায় মেডিক্যালের ছাড়পত্র জাল তৈরীর অপরাধে মামলার বাদী কারাগারে

শংকর ঋষি ,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
: সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করেই মেডিক্যাল কলেজের ছাড়পত্র জাল তৈরীর করার অপরাধে মামলার বাদী খারাপ প্রকৃতির লোক রফিক মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

১৮/৫/২৩ ইং তারিখে বাদী রফিক মিয়া বিবাদীদের সঙ্গে কোনু ঝগড়ার ঘটনা ঘটে নাই। ১৫/৬/২৩ ইং তারিখে অত্র মোকদ্দমার বাদী রফিক মিয়া সাংবাদিক দিলুয়ার হোসেন সহ ১০ জন কে আসামী করে শাল্লা আমল গ্রহন কারি মেজিস্ট্রেট আদালতে সি আর ৭৫ /২৩ মোকদ্দমাটি দায়ের করিলে বিঙ্গ আদালত এফেয়ার নির্দেশ প্রধান করেন ।

যাহা ২৪/ ০৬/২৩ ইং তারিখে শাল্লা থানায় রেকর্ড কৃত মামলা নম্বর জি আর ০২/৪১/২৩ হিসেবে নম্বর ভুক্ত হয়। পর বর্তীতে উক্ত মামলাটি তদন্ত কারী কর্ম কর্মকর্তা তদন্ত শেষে জখমীদের মেডিকেল সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হওয়ায় চুড়ারান্ত রিপোর্ট মিথ্যা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বিপিএম।

১১/২/২৫ ইং ধার্য তারিখে মামলাটি আদালতে চূড়ান্ত শুনানি ও তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে আসামি গন অব্যহতি প্রাপ্ত হন।

এম এ জি উছমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করেই বাদী রফিক মিয়ার আপন ভাতিজা পরোয়া ছাত্র মেজবাকে ভুয়া জখমী রোগী উল্লেখ করে উসমানী মেডিক্যাল কলেজের নাম ভাঙ্গিয়ে জাল ছাড়পত্র তৈরী, অত্র আদালতে প্রতারনার আশ্রয়ে জাল রুগীর সনদ , সৃজন ও ব্য্যবহার করে আদালতের সাথে প্রতারণা করে, আদেশ হাসিল করে অত্র মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডে ১৯৩/১৯৫/২১১/৪৬৬/৪৬৮/৪৭৪/ ধারায় মামলা রুজু করার জন্য চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের মাধ্যমে বিঞ্জ আমল গ্রহনকারী আদালত সদর সুনাম গঞ্জ বরাবর প্রেরন করেন।ও অত্র আদালতের জি আর ও কে ক্ষমতা অর্পন করা হলো।

সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করেই মেডিক্যাল কলেজের ছাড়পত্র জাল তৈরীর করার অপরাধে মামলার বাদী রফিক মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

১১/২/২৫ ইং ধার্য তারিখে মামলাটি আদালতে চূড়ান্ত শুনানি ও তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে আসামি গন অব্যহতি প্রাপ্ত হন।

এম এ জি উছমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করেই বাদী রফিক মিয়ার ভাতিজা মেজবাকে জখমী রোগী উল্লেখ করে উছমানী মেডিক্যাল কলেজের নাম ভাঙ্গিয়ে জাল ছাড়পত্র তৈরী করে রফিক মিয়া। এবং বিঙ্গ আদালত অত্র মোকদ্দমার বাদী কে মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য বাদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেষ প্রধান করিলে বাদী রফিক মিয়ার বিরুদ্ধে সি আর মামলা নং ১৪৫/২৫ মোকদ্দমাটি দায়ের হন ৷ ফলে মামলাটি প্রমাণিত হওয়ায় জাল ছাড়পত্র তৈরীর অপরাধে মামলার বাদী রফিক মিয়াকে ২১১ ধারায় শোকজ করেছিলেন আদালত । সেই সাথে যায়যায়দিন পত্রিকার শাল্লা উপজেলার প্রতিনিধি সাংবাদিক দিলুয়ার হোসেন সহ ১০ আসামীকে বেকশুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। জিআর মামলা নম্বর ৪১/২০২৩ শাল্লা।

বাদী রফিক মিয়াকে আদালত শোকজ করলেও আদালতকে অবমাননা করেন রফিক মিয়া। পরবর্তীতে বাদী রফিক মিয়ার বিরুদ্ধে আদালত ওয়ারেন্ট জারী করেন। ৩/৭/২৫ ইং তারিখে আদালতে হাজিরা দিলে রফিক মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।