ঢাকা মঙ্গলবার ২৪শে জুন, ২০২৫

ঢাকা মঙ্গলবার ২৪শে জুন, ২০২৫

বাহাদুরপুর ইউনিয়নে কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা, হেঁটে চলাও কাল দাড়িয়েছে

✒ দৈনিক কলম যোদ্ধাঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিনিধি :

আনোয়ার হোসেন (লিটন)

কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা, হেঁটে চলাও কাল হয়ে দাড়িয়েছে।বর্ষাকালে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের। আর এসব ব্যপারে নজর নেই জনপ্রতিনিধিদেরও।তেমনি অবহেলিত নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুর পুর ইউনিয়নের অধিক অংশ গ্রাম গুলো।গোকুলপুর গ্রামের মোড় থেকে বদলপুর গ্রমের মোড় দিয়ে তল্লা ভাতকুন্ডু, আদমপুর মোড় থেকে কাঁচা রাস্তাটি।দেখলে মনে হবে, এটি রাস্তা নয় ধানের চারা রোপণের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে কোনো গাড়ি চলাচল করতে  পারেই না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও কোন অবস্থা নেই। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও মুরগির খামারিরাসহ স্থানীয়রা।নিয়ামতপুর মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ রাস্তা থাকলেও এ রাস্তায় এখনো কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতে করে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, নুরনবী,নঈম উদ্দিন মাস্টার, একরামুল হক, মনিরুল ইসলাম , ও মুদি দোকানদার শফিকুল ইসলাম জানান, এ এলাকায় ১১০০ পরিবারের প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। পুরো বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য চরম কষ্টের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পানির নিচে ডুবে থাকে, পানি সরে গেলে রাস্তা কাদা হয়ে যায়। ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হয়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয়। রাস্তার বিষয়ে অনেকবার চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এলাকার কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বালাতৈড় হাইস্কুলের শিক্ষার্থী মাহাফুজ, ও তল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষিকা, লতা আক্তার বলেন আমাদের এ এলাকা থেকে দেড়শ ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে ও মাদরাসায় যায়। বর্ষাকালে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে আমাদের কষ্ট হয়। অনেকসময় গায়ের জামা কাপড় কাদাপানিতে নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দিলে এলাকাবাসীসহ সবার উপকার হবে।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক ও নওগাঁ জেলার দৈনিক উপচার পত্রিকার প্রতিনিধ আনোয়ার হোসেন (লিটন) বলেন, রাস্তাটি জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। এখানে রয়েছে স্কুল-মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির ও হিন্দুদের শ্মশান। কিন্তু কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষায় চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতি সম্মান রেখে, জনগণের কথা চিন্তা করে কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলে আসাবাদি সকল জনগণ।
২৪/জুন/২০২৫#