ঢাকা বৃহস্পতিবার ১৯শে জুন, ২০২৫

ঢাকা বৃহস্পতিবার ১৯শে জুন, ২০২৫

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ঔষধ সংকটের আশংকা

✒ জেলা  গাইবান্ধা: প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৬:৩০ অপরাহ্ণ

 গাইবান্ধা প্রতিনিধি: তত্ত্বাবধায়কের স্বেচ্ছাচারিতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বৎসরে ঔষধ ও এমএসআর সামগ্রী ক্রয় না করা এবং অনিয়ম আর অব্যস্থাপনায় গাইবান্ধা জেলা সদরের একমাত্র সরকারি জেনারেল হাসপাতালটি নিজেই নানান রোগে আক্রান্ত। কর্তব্যরত ডাক্তারদের দ্বায়িত্বহীনতা এবং প্রাণরক্ষাকারী প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সামগ্রীর সংকটে ভেঙ্গে পড়েছে হাসপাতালটির চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ স্বাস্থ্যসেবা। সরকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য প্রতি বছর ঔষধ ও এমএসআর সামগ্রী ক্রয় বাবদ প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও দুর-দুরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ১৫ জুন ২০২৫ রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় জেলা সদরের অন্যতম সরকারি হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, আউটডোরে টিকিট নিয়ে ডাক্তারের সাক্ষাত পেতে প্রচন্ড গরমে লাইনে দঁাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন শত শত রোগী। তবুও দেখা মিলছে না ডাক্তারের। তাদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যদিও ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে ডাক্তারের সাক্ষাত পাওয়া যায় কিন্তু কয়টা ট্যাবলেট ছাড়া প্রয়োজনীয় ঔষধ পাওয়া যায় না। আবার ইনডোরে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড মিলে ৩/৪ শত রোগী সুচিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে আছেন। কিন্তু চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে হতাশ রোগীর স্বজনেরা। তারা ক্ষুব্ধতার সাথে বলেন, বিনামূল্যে ভালো চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার আশা নিয়ে রোগী ভর্তি করেছিলাম কিন্তু বেড-এ শুয়ে ফ্যানের বাতাস ছাড়া অন্য কোন সুবিধা নেই। সাধ্য না থাকলেও ধার-দেনা করে চিকিৎসার জন্য জীবন রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ বাইরে থেকে উচ্চমূল্যে কিনতে হচ্ছে। কামারজার্নির সাজিদা শ্বাসকষ্ট রোগে,বাগুড়িয়ার মমেনা রক্তশুন্যতা রোগে, ঘাঘোয়ার শামিম ডেঙ্গু রোগে, ডেভিড কোম্পানিপাড়ার হারুন-অর-রশিদ পেটের ব্যথা নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। তাদের সকলের ভাষ্য দিনে একবার ডাক্তার এসে দেখে গেলেও হাসপাতাল হতে দেওয়া হচ্ছে না রোগ উপশমের জন্য দামী ঔষধ। তাই জীবন বাঁচাতে বাইরে দোকান থেকে উচ্চ দামে কিনতে হচ্ছে ওই সব ঔষধ।এবিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুজ্জামান’র সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের নিকট বলেন, আমি যে তালিকা দেখেছি তাতে পুরো জুন মাস চলার মতো ঔষধ মজুদ আছে। তবে অভ্যন্তরীন অনিয়মের কারণে এই সংকট তৈরী হচ্ছে। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর এমএসআর টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। ওই সব ত্রুটি’র ফলে টেন্ডার সংক্রান্ত কাজ চলমান রাখা সম্ভব হয় নাই। ঔষধ ও এমএসআর সামগ্রী দ্রুত ক্রয় করা না হলে স্বাস্থ্যসেবায় চরম বিপর্যয় নেমে আসবে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগামী জুলাই মাসে ইডিসিএল হতে ঔষধ নেওয়া হবে।