ঢাকা বুধবার ৯ই জুলাই, ২০২৫

ঢাকা বুধবার ৯ই জুলাই, ২০২৫

সাঘাটায় অবৈধ উপায়ে সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার অভিযোগ

✒ সাঘাটা(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ

সাঘাটা(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটায় সেচমালিকের বিরুদ্ধে ২টি সেচপাম্পে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ সংযোগের নিয়মনীতি অনুযায়ী সেচ লাইসেন্স এবং লাইসেন্স অনুযায়ী পাম্পস্থাপন দেখে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার কথা খাকলেও এসব নিয়ম মানা হয়নি। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মনগড়া ভাবে নলকুপ স্থাপন করে সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহন করেছেন উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের আব্দুল্লার পাড়া গ্রামের সেচমালিক মোত্তালেব মিয়া। এ নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে দুটি পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা।অবৈধভাবে ৫কেভি ট্রান্সফর্মা থেকে সংযোগ নিয়ে বৈদ্যুতিক ড্রপ তার নিচে নামিয়ে প্রায় দেড় হাজার ফুট দুরত্বে বাঁশের খুঁটিতে তার ঝুলিয়ে অন্যের জমিতে পানির সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী অবৈধ সংযোগকারীর বিরুদ্ধে বোনারপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেরজার এর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগ এবং গাইবান্ধা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বোনারপাড়া জোনাল অফিসের তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আব্দুল্লারপাড়া গ্রামের মৃত মহাতাব আলীর ছেলে কৃষক মোত্তালেব মিয়া আব্দুল্লার পাড়া মৌজায় জে এল নং ৯৬ খদিয়ান নং ২৮ এর ৩১১ নং দাগের জমিতে নলকুপ স্থাপন দেখিয়ে বিগত ২০০২১ সালের উপজেলা সেচ কমিটির কাছ থেকে সেচের লাইসেন্স গ্রহন করেন। যার লাইসেন্স নং ১৬৩২ তারিখ- ৫/০১/২০০২১ ইং। কিন্তু সেসময় লাইসেন্স গ্রহন করলেও সেচ যন্ত্রপাতি সর্বরাহ এবং সেচ চালু না করার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তার ওই লাইসেন্সটি তামাদি হয়ে যায়। পরবর্তীতে চলতি বছর ২৩ ফেব্রæয়ারী লাইসেন্সটি আবারও উপজেলা সেচ কমিটির কাছ থেকে নবায়ন করে নিয়ে লইসেন্স এর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জমির দাগ খতিয়ান পরিবর্তন করে সাম্প্রতি অনেক দুরে নিয়ে অন্য খতিয়ানের এবং অন্যেও জমিতে নলকুপ স্থাপন করে অবৈধ উপায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহন করেছেন। যা সেচ এবং পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ নীতিমালার বহির্ভুত।সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় প্রায় এক হাজার ফুট দুরে বাঁশের খুঁটিতে তার টেনে ওই সেচে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়াও খতিয়ান-দাগ পরিবর্তন করে নলকুপ স্থাপনের প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধুতাই নয় ওই মোত্তালেব মিয়া বাদিনার পাড়া গ্রামের নজমল নামে অন্য এক ব্যক্তির সেচ নিয়ে প্রায় ২ হাজার ফুট দুর থেকে বাঁশের খুঁটিতে তার টেনে সংযোগ নিয়ে চালু রেখেছেন।এব্যাপারে মোত্তালেব এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি এসময় উত্তেজিত হয়ে জানান, পল্লীবিদ্যুতের নিয়ম কি ? পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে কতটাকা ঘুষ দিয়ে সেচ লাইন নিয়ে হয় তা সবাই জানেন না ? আমি যেখানে ইচ্ছা সেখানে লাইন নিতে পারি। পল্লীবিদ্যুতের সবাই যেভাবেই নলকুপ স্থাপন করে, আমিও সেভাবেই করেছি। এ সময় তিনি পল্লীবিদ্যুতের দুইজন সাবেক এলাকা পরিচালকের পরিচয় দিয়ে বলেন, তারা আমার নিকট আত্মীয়। ক্ষমতা থাকলে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস আমার লাইন কেটে দিক।এঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ বোনারপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, কয়েকদিন পূর্বে নতুন করে একটি সেচের অবৈধ সংযোগের অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই অবৈধ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হবে। # জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা, গাইবান্ধা