ঢাকা সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক-শুভ সাহা: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসডেন্ট শি জিনপিং এবার একজোট হয়ে কাজ করবেন।
বর্তমান চলতি মাসের শুরুর দিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন,ভারত ও চীনের মধ্যে পশ্চিমারা সবসময় সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা করে চলেছে।এ বিষয়টি নিয়ে ল্যাভরভ দাবি করে বলেন,ভারত-চীনকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব।পশ্চিমাবিশ্ব ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ অঙ্ক কষে এশিয়ার দুই মহা শক্তিশালী দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তবে এবার নতুন বার্তা দিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২৯শে-মে) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন,রাশিয়া-ভারত-চীন (আরআইসি) ফরম্যাটের কার্যক্রম চালুর জন্য পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে মস্কো সত্যিকারের আগ্রহী রয়েছেন। তিনি বলেছেন,আরআইসি এবার শান্তিপূর্ণভাবে পুনঃমিলনের মাধ্যমে একজোটে কাজ শুরু করার সময় এসেছে। ইউরেশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,রাশিয়া,ভারত ও চীন- এই ত্রয়ী ফরম্যাটের কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব পুনরায় শুরুর ব্যাপারে আমাদের আন্তরিক আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। সাবেক রুশ প্রধানমন্ত্রী ইয়েভগেনি প্রিমাকভের উদ্যোগে অনেক বছর আগেই এই ফরম্যাট চালু হয়েছিল। এরপর এটি ২০ বারেরও বেশি মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক করেছে। শুধু পররাষ্ট্রনীতি প্রধানদের নয়,বরং তিন দেশের অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক ও আর্থিক সংস্থার প্রধানরাও এতে অংশ নিয়েছেন বলে তথ্য সুনিশ্চিত করেন।তিনি জোর দিয়ে আরও বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমার যতদূর জানা আছে,ভারত-চীনের মধ্যে সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত করতে একটি সমঝোতা হয়েছে। আমার মতে, এখনই উপযুক্ত সময় এই আরআইসি ত্রয়ী পুনরুজ্জীবিত করা।এদিন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, ন্যাটো স্পষ্টতই ভারতকে চীন-বিরোধী ষড়যন্ত্রে আকর্ষিত করার চেষ্টা করছে দীর্ঘকাল যাবৎ।বিগত ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতের সংঘর্ষের পর থেকে আরআইসি ফরম্যাট কার্যক্রম স্থগিত ছিল।এর আগে গত ১৬ মে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, চীনের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এশিয়ায়। ভারতও অর্থনৈতিকভাবে নজর কাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলে লাভ পশ্চিমা বিশ্বের। এশিয়ার বাকি দেশগুলোকে খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবে আমেরিকাসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। তাই আপাতত চীন ও ভারত দুই প্রতিবেশীর আধিপত্য কমাতে দুই জনকে সংঘাতের ময়দানে মুখোমুখি দাঁড় করাতে গভীর ষড়যন্ত্রে সক্রিয় হয়েছেন পশ্চিমা দেশগুলো।
আপনার মতামত লিখুন :