ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫
মোঃ সাগর সরকার,স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভায় অপরিকল্পিত ও অব্যবস্থাপনা ড্রেনেজ এর কারণে একটু বৃষ্টি হলে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে গিয়ে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। ১৯ মে সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গাইবান্ধা রোড, উপজেলা রোড,বেলেরঘাট রোড ও কালীবাড়ি বাজার রোড সরকারি কলেজ রোডে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ নির্মাণ, যে কারণে ড্রেনেজ দিয়ে কোন প্রকার পানি প্রবাহ হয় না। ফলে শত শত বাসাবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, এবং আকস্মিকভাবে পানি প্রবেশ করায় অনেকের ঘরের মালামাল ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার প্রধান ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে১,২ ৪,৫,ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। পৌর শহরের কেন্দ্রস্থলে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, এবং শহরের খাল ও ড্রেনগুলো অপরিকল্পিতভাবে ভরাট করার ফলে পানি নিষ্কাশন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী পৌর বাসিন্দা জাকারিয়া মাসুদ জলিল জানান, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে পৌরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদিও শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পৌরসভার বাসিন্দা মইন উদ্দিন বলেন, নিম্নমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে সবসময় জলাবদ্ধতার সমস্যা হয়। ব্যবসায়ী ছামছুল সরকার জানান, পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পানি দোকানে প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট করেছে। এ রকম প্রায়ই ঘটে, কিন্তু কেউ দেখে না। গ্রীনফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের সামনের দোকানদার মিলন বলেন ড্রেন নির্মাণে যদি বেশি শ্রমিক নিয়োগ করা হতো তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হতো শিক্ষার্থীদেরকে এত ভোগান্তি পোহাতে হতো না রাস্তাঘাট গুলো ভেঙ্গে যেত না সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক আল ইয়াসা রহমান তাপাদার বলেন, “টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হয়েছে। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে, এবং দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :