মোঃ মিনারুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে বাংলাদেশে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা পদ্ধতির অগ্রগতির ফলে অনেক নিঃসন্তান দম্পতিরা সন্তান লাভের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে এই চিকিৎসার একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, গর্ভধারণের জন্য ডিম্বাণু ফোঁটানোর ওষুধ ব্যবহারের ফলে যমজ বা একাধিক সন্তানের জন্মের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় গর্ভাশয়ে ডিম্বাণু ফোঁটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়। সঠিক মাত্রায় ও নিরীক্ষণের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ করা হলে এটি নিরাপদ হলেও, কখনো কখনো মাত্রাতিরিক্ত ডোজ বা একাধিক ওষুধ ব্যবহারের কারণে অতিরিক্ত সংখ্যক ডিম্বাণু ফোটে। ফলে একাধিক ভ্রূণের সৃষ্টি হয় এবং যমজ, ট্রিপলেট এমনকি আরও বেশি সংখ্যক শিশুর জন্মও ঘটে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, শুধুমাত্র অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এসব চিকিৎসা করা উচিত। কারণ অজ্ঞতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়া দোকানদার বা পল্লী চিকিৎসকদের দ্বারা ডিম্বাণু ফোঁটানোর ওষুধ ব্যবহারের ফলে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে, এমনকি মা ও নবজাতকের উভয়ের জন্যই তা প্রাণঘাতী হতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রাকৃতিকভাবে প্রতি ২৫০টি গর্ভধারণে একটি যমজ সন্তান জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। ট্রিপলেট (তিন সন্তান) জন্মের হার প্রায় প্রতি ১০ হাজার গর্ভধারণে একবার ঘটে, আর চার সন্তানের জন্মের হার প্রতি ৭ লাখ গর্ভধারণে মাত্র একবার ঘটে থাকে। তবে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় সন্তান গ্রহণের হার বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে যমজ ও একাধিক সন্তানের জন্মের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সন্তান গ্রহণের আগে ওষুধ প্রয়োগের প্রতিটি ধাপই যেন অভিজ্ঞ ও বিশেষায়িত চিকিৎসকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। এতে মা ও সন্তানের সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :