নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোর উপজেলার তানোর সাংবাদিক ক্লাব পরিবার (টি.এস.সি) সংগ্রামী সভাপতি প্রতিবাদী সাংবাদিক সোহানুল হক পারভেজ ও তার পরিবারের উপরে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম ও আহত করা হয় সাংবাদিক পরিবারটিকে। এই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক পরিবারটি প্রচন্ড নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে। চলছে সাংবাদিক মহল’সহ বিভিন্ন মহলে তীব্র নিন্দার ঝড়। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিবাদী গণমাধ্যম কর্মী হওয়ায় এর আগেও সাংবাদিক সোহানুল হক পারভেজের উপরে বিভিন্ন ভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজও এই রকমই একটি ঘটনার রেস ধরে আবারও তানোর উপজেলার যোগীশো গ্রামের মজিবর, নাঈম ও সখিনার নেতৃত্বে হামলা চালায় সাংবাদিক পরিবারের ওপর। তারা পরিকল্পিত ভাবে এসে অটোরিকশা যোগে তানোর মধ্যেপাড়ায় গিয়ে সাংবাদিক পারভেজের নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কায়দায় আকষ্মিক দলবল’সহ এই হামলাটি চালিয়েছে। এ ঘটনায় অটোরিশকাসহ ০২ জনকে আটক করেতে সক্ষম হয়েছে তানোর থানা পুলিশ। এই বিষয়ে সাংবাদিক সোহানুল হক পারভেজ জানান, আজ সকাল ৮ টা ৩০ ঘটিকার দিকে তারা আমার নিজ বাড়ি তানোর মধ্যেপাড়ায় এসে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে এই সন্ত্রাসীরা। ওই সময় আমার বাড়ির বিভিন্ন মালামাল ও নগদ টাকা, গহনা লুট’সহ ভাংচুর চালায়। আক্রমণকারী সন্ত্রাসীরা হলো, তানোর উপজেলার পাঁচান্দর ইউপির যোগীশো গ্রামের মজিবর, নাইম ও সখিনা তাদের মধ্যে দু’জন তানোর থানা পুলিশ কতৃক আটক আছে। সাংবাদিক সোহানুল হক পারভেজ আরও জানান, আজ সকালে আমার নিজ বাড়ি তানোর মধ্যেপাড়ায় সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য মেরে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করে। এই ঘটনার পরে লোকজন ও থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে তানোর থানায় নিয়ে আসেন ওই সময় আমার রক্তাক্ত অবস্থা দেখে ওসি সাহেব আমাকে আগে চিকিৎসা নিতে বলেন। ওসি বলেন, আপনি চিকিৎসা নেন আসামীদেরকে জিজ্ঞাসা চলছে তদন্ত সাপেক্ষে এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে। সাংবাদিক পারভেজের উপরে হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীর তানোর সাংবাদিক ক্লাব পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ রুহুল আমীন খন্দকার বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ জনক, আমরা মর্মাহত সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা আমরা মেনে নেব না। সকল হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে, সন্ত্রাসীরা যেন আমাদের দুর্বল না ভাবে। সাংবাদিক সমাজ জেগে উঠলে নির্যাতনকারী, হামলাকারীরা টিকে থাকতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা প্রশাসনকেই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে হবে। সাংবাদিকদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। সাংবাদিকরা আহত হয়ে যথাযথ বিচার না পেলে প্রয়োজনে সংসৃষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা’সহ আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর জবাব চাইবো। এদিকে সাংবাদিক সোহানুল হক পারভেজের ওপর হামলায় নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় প্রধানন বহুল আলোচিত দৈনিক উপচারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ নুরে ইসলাম মিলন। নুরে ইসলাম মিলনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সংগঠনটির রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি আইনগত বা অন্য যে কোন সহায়তার জন্য সাংবাদিক সোহানুল হক পারভেজের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা থেকে মুঠোফোনে কথা হলে রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন এই গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি আমরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই অটোরিকশা আটক’সহ হামলাকারী দুই জনকে গ্রেফতার করেছি বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। পুলিশ ও সাংবাদিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজিসহ সব অপরাধ কমে যাবে। এখানে আমি সবসময়ের জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করি।
আপনার মতামত লিখুন :