মোঃ ইউসুফ আলী, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ ২৩ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত দুদক সম্মন্বিত কার্যালয় দিনাজপুর, বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গোপনে ও প্রকাশ্যে বিভিন্ন অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলা এবং দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন। হাসপাতাল ল্যাবে কর্মরত কর্মচারী আল আমিন ও আরেফিন আগন্তুক রোগীদের নিকট পরীক্ষার নামে বিনা রশিদে প্রতিদিন অতিরিক্ত টাকা আদায় ও আত্মসাত করে, যা প্রতিদিন ১০/১২ হাজার হিসেবে মাসে ৩ হতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা, এক্স রে অপারেটর মনোরঞ্জন এবং তার সিনিয়র শাহনেওয়াজ আকতার প্রতিদিন ৯/১০ হাজার টাকা মাসে প্রায় আড়াই হতে ৩ লাখ টাকা আয় করলেও মাস শেষে কষাগারে জমা হয় নামমাত্র ১০/১৫ হাজার টাকা, এভাবেই চলে আসছে যুগের পর যুগ। অনেকে স্বীকার করে বলেন এসব অপকর্মের মূল হোতা প্রায় ১২ বছর কর্মরত হিসাব রক্ষক আব্দুল মাওলা। দুদক পরিচালক ইসমাইল হোসেন জানান কর্মরত কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির প্রমাণ হাতে নাতে মিলেছে, তাছাড়া ২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিনের আয়ের টাকা সরকারী রাজস্ব কষাগারে জমা না দিয়ে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আত্মসাত করার অপরাধে হিসাব রক্ষক আব্দুল মাওলা, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট আল আমিন ও মহিবুল আরেফিন, মেডিক্যাল টেকনোলোজিষ্ট রেডিওগ্রাফি (এক্সরে অপারেটর) মনোরঞ্জন দেবশর্মা ও শাহনেওয়াজ আকতার গনের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান দুনীর্তি দমন কমশন (দুদক) একই সাথে রোগীদের নিম্নমান এবং কম পরিমান খাদ্য সরবরাহ করায় ঠিকাদার সৈয়দ শরিফুল হোসেনের কার্যাদেশ বাতীল করার সুপারিশসহ উর্দ্ধ মহলে প্রেরন করা হবে মর্মে অভিযানিক দলনেতা সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন (দুদক) সমন্বিত কার্যালয় এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিফ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার আফরোজ সুলতানা লুনা।
আপনার মতামত লিখুন :