ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

তানোরে ৬ বছরেও উদঘাটন হয়নি ব্যবসায়ী শাহজাহান হত্যা রহস্য

✒ দৈনিক কলম যোদ্ধাঃ প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:১৩ অপরাহ্ণ

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান: রাজশাহীর তানোরে আলোচিত  ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর অতিবাহিত হলেও এখানো হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এখানো মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই তানোর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী ব্যবসায়ী কাজে বের হয়।এদিন মুন্ডুমালা বাজারের মেসার্স  হক এন্টার প্রাইজে (দোকান) মোটরসাইকেল রেখে যায়।কিন্ত্ত তারপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ১৬ জুলাই তার স্ত্রী তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এবং ১৮ জুলাই  পাবনার ঈশ্বরদী হার্ডিং ব্রিজের নিচে শাহজাহানের লাশ পাওয়া যায়। একই দিন নিহতের স্ত্রী সেলিমা জাহান বাদি হয়ে তানোর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় নিহত শাহজাহানের ব্যবসায়ী পার্টনার মেসার্স নাবিলা এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আখেরুজ্জামান (সেলিম) এবং একই গ্রামের সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম মুন ও তার পরিবারের ৬ জনসহ মোট ১০ জন। স্থানীয়রা বলছে, সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে সাংবাদিক পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে ২ শতক জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল এবং নিহতের ব্যবসায়ীক পার্টনার সেলিম এর সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে খুন করতে পারে বলে সন্দেহ করে এজাহারে উল্লেখ করেন। এদিকে আসামীরা দাবি করেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমরা জড়িত নই। তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি গতভাবে মামলাটি তদন্ত করলে এবং মোবাইল ট্র্যাকিং করলে আসল অপরাধীরা ধরা পড়বে এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন হবে। স্থানীয় অসমর্থিত একাধিক সুত্র জানান, ব্যবসায়ী পার্টনার আখেরুজ্জামান সেলিমের সঙ্গ শাহজাহান আলীর চরম মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। এমনকি শাহজাহান আলীকে একাধিকবার দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল সেলিম। সেই বিবেচনায় এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে আখেরুজ্জামান সেলিমের সম্পৃক্ততা থাকলেও থাকতে পারে। এদিকে মামলা তুলে নিতে বাদির পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করছে আখেরুজ্জামান সেলিম। এতে বাদির পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আখেরুজ্জামান সেলিমকে পুলিশ হেফাজত বা কারাগারে রাখার দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এবিষয়ে জানতে চাইলে আখেরুজ্জামান সেলিম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাদি বা তার পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নাই।