মোঃ ইব্রাহিম সরকার,স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে তিস্তা নদীতে ভেসে আসা সেই অজ্ঞাত গৃহবধূর পরিচয় খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। খরস্রোতা তিস্তা নদীতে ভেসে এসে চরে বালুতে আটকে থাকা মেহেদী রাঙানো অবস্থায় পিছনে হাত বাধা সেই তরুণীর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। মরদেহের মেহেদী রাঙা হাতে লেখা ছিল ‘আই লাভ ইউ’।। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার চর থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। মেয়েটির নাম জোসনা। সে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯ দিন আগে একই জেলার চাপানী এলাকার জহিদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় জোসনার। বিয়ের পরে চাচাতো বোনের বিয়েতে দাওয়াত খেতে নিজ বাড়ীতে এসেছিলো জোসনা। শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিখোঁজ হয় জোসনা। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে তাদের সন্দেহ যে জোসনা বয়ফ্রেন্ড এর সঙ্গে পালিয়েছে। এদিকে, নিখোঁজের ৪দিন পর তিস্তা নদীর তীব্র স্রোতে ভেঁসে এসে মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার তিস্তা মাঝের চরে ওই মরদেহ আটকে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান। পরে আদিতমারী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জোসনার হাত পিছন থেকে বাঁধা ছিল এবং মুখমণ্ডল ছিল ঝলসে যাওয়া ও তার মেহেদী রাঙা হাতে লেখা ছিল ‘আই লাভ ইউ’ এটি দেখে সকলেই বিস্ময় হতবাক। এলাকাবাসীর দাবি সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে ও প্রকৃত অপরাধী কে জানা যাবে। এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, মরদেহ হিমঘরে রাখা রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনকে হস্তান্তর করা হবে। সৃষ্ট ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :