আপন শ্যালেকের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু শয্যায় দুলাভাই!
বগুড়ার শাজাহানপুরে আপন শ্যালকের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুলাভাই জাহিদুল ইসলাম (৪১) নামের এক যুবক। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের খোদাবন্দবালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত জাহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে। এঘটনায় ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘাতক শাহাদাতের স্ত্রী রুমি খাতুনকে (২৭) গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। ঘটনার পর থেকেই শাহাদাত পলাতক রয়েছে। শাহাদাত হোসেন (৩২) একই গ্রামের মৃতঃ নুর হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত জাহিদুল ইসলামের ছোট ভাই মেরাজুল ইসলাম গত (৫ অক্টোবর) শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হতাহতকে সরেজমিনে উদ্ধারকারী ব্যক্তি আনোয়ার হোসেন বলেন; আমি রাতে বাজার থেকে বাড়ি এসে ভাত খাওয়া শেষ করে টিভি দেখতেছি। এমন সময় বাহিরে থেকে স্বজোড়ে চিকিৎকার করে বলছে আমাকে বাঁচাও। আমার শালা (শ্যালক) শাহাদাত আমাকে মেরে ফেলল। সাথে সাথে আমি বাড়ির বাহিরে এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় জাহিদুল গড়াগড়ি করছে। পরে আমি তার স্বজনদের ফোন করে ডাকতে থাকি। তখন স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতের ছেলে ওমর ফারুক (১৮) জানান, গত বুধবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০ টার পর আমার বাবা বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে একই গ্রামে আমার বোনের বাড়ি যাচ্ছিল। আমার মামা শাহাদাত আগে থেকেই পথিমধ্যে ওৎ পেতে ছিল। আমাদের গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির সামনে পৌছামাত্র শাহাদাত মামা বাবাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের ফলে পেটের ভুরি পযর্ন্ত বের হয়ে যায়। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে তৎক্ষনাত শাহাদাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই সময় বাবার ডাক চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এসে তাকে গুরুত্বর অবস্থায় ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত শরীরে দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সিএনজি যোগে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখনো বাবা মুত্যু শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামবাসীরা জানান, জাহিদুল ইসলাম ঘাতক শাহাদাতের দ্বিতীয় বোন জামাই। দীর্ঘদিন হলে তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলায় ঝগড়া বিবাদ করতে দেখা গেছে। তাই জমিজমা সংক্রান্ত্র বিবাদের জের ধরেই শাহাদাত এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করেছেন গ্রামবাসী। এবিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অভিযোগ সূত্রে মামলার ২নং আসামী রুমি খাতুনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মূলহোতা শাহাদাত হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :