ঢাকা শনিবার ১২ই এপ্রিল, ২০২৫

ঢাকা শনিবার ১২ই এপ্রিল, ২০২৫

রামগড় ৪৩ বিজিবির উদ্যোগে বন্যা দূর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় প্রদান চলমান

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪, ৮:১২ অপরাহ্ণ

মোঃমাসুদ রানা,স্টাফ রিপোর্টার: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় নাকাল দেশের অন্তত ৯টি জেলার মানুষ। সৃষ্ট এ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়ে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ৪৩ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি’র রামগড় ব্যাটালিয়ন অধিনস্ত বেশকয়েকটি এলাকার মানুষও।  এ অবস্থার প্রেক্ষিতে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে বানভাসী মানুষকে উদ্ধার ও মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে এসেছে রামগড় ৪৩ বিজিবি।   বৃহস্পতিবার (২২ই আগষ্ট) সকাল থেকেই রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর নুর উদ্দিন আহমদ এর নেতৃত্বে বিজিবির বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দল ৪৩ বিজিবির অধিনস্ত আধারমানিক বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোট ৬৯টি পরিবারের ৩০৩ জন সদস্য, নলুয়া টিলা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ১০৫টি পরিবারের ৬০০ জন সদস্য (বর্তমানে উদ্ধারকৃত পরিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছে), লাচারীপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ৪১টি পরিবারের ২০৬ জন সদস্য, লক্ষিছড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ  ৮১টি পরিবারের ৪৪১জন সদস্যসহ সর্বমোট ২৯৬টি পরিবারের ১৫৫০জন সদস্যকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।  এছাড়া, ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ন এলাকায় আকষ্মিক সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ গরীব ও অসহায় ২০০ টি পরিবারের মাঝে তাৎক্ষনিকভাবে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে। এসব ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, লবণ এবং শুকনা খাবাবের মধ্যে রয়েছে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি, গুড় ও কলা। বিজিবি জানিয়েছে, দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অতিবৃষ্টির কারনে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের বিজিবি উদ্ধারকারী দলের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগনের পাশে রয়েছে বিজিবি ব্যাটালিয়ন।  রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন জানিয়েছেন, অন্যান্য সময়ের মতো এবারও বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজিবি। তিনি জানান, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ব্যাটালিয়ন অধিনস্ত এলাকার দূর্গত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।